প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Municipality Recruitment Scam) তদন্ত করতে গিয়ে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল ইডির হাতে। ইডির (ED) দাবি, বাজেয়াপ্ত হওয়া একাধিক মোবাইল ফোন (Mobile Phone) খতিয়ে দেখে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের (WhatsApp Group) খোঁজ মিলেছে। এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন অয়ন শীল (Ayan Seal)। এই গ্রুপের সদস্য ছিলেন একাধিক পুরসভায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা। ইডির দাবি, এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমেই পাঠানো হত চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা। আর ইডির যে দাবির পরই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে অভিযোগ, তাহলে কি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কার্যত খুল্লামখুল্লা ভাবেই চলেছে পুর নিয়োগে দুর্নীতি ! 


এর আগেও ইডির তরফে গ্রেফতার প্রোমোটার অয়ন শীলের সম্পর্কে একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলেই দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গ্রেফতার হওয়া বহিষ্কৃত প্রাক্তন যুব তৃণমূলের নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ মাসে মোট ৭ কোটি টাকা ট্রান্সফার হয়েছিল অয়ন শীলের অ্যাকাউন্টে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের আরও দাবি করেছিল অয়ন শীলের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ২৫ কোটি টাকা ঢুকেছে ! সবমিলিয়ে লেনদেনের অঙ্ক ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার। যে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়োগ দুর্নীতির বলেই ইঙ্গিত ছিল ইডির।


ED সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, পুরসভার লেবার পদে চাকরির জন্য রেট ধার্য হয়েছিল ৪ লক্ষ টাকা। ড্রাইভার পদের জন্য ৪ লক্ষ টাকা। এছাড়াও সাফাই কর্মীর জন্য ৪ লক্ষ। গ্রুপ ডি পদে ৪ লক্ষ। গ্রুপ সি-র পদের জন্য ৭ লক্ষ থেকে টাইপিস্টের জন্য ৭ লক্ষ। রীতিমতো রেটচার্ট তৈরি করে বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি 'বিক্রি' হয়েছে বলেই দাবি করেছিল ইডি। ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বলাগড়ের নিত্য়ানন্দপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতে কার্যনির্বাহী সহায়ক ছিলেন অয়ন শীল। কিন্তু পরবর্তীকালে তিনিও চাকরি ছেড়ে দেন। তারপর কার্যত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে তার সম্পত্তি। ইডির ইঙ্গিত, বেশিরভাগটাই পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অর্থে।          


 


আরও পড়ুন- ফের বিশ বাঁও জলে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো ! পরিকাঠামোর কাজে ঘাটতি, পরদর্শনে এসে ক্ষুব্ধ আধিকারিকরা


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।