রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অধরা (at large) নদিয়ার (nadia) তৃণমূল (TMC) নেতার খুনিরা (murderers)। তবে আপাতত নওদার তৃণমূল ব্লক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের হয়েছে। তৃণমূল ব্লক সভাপতি সফিউরজাম্মান শেখ ও জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিকের নামে এফআইআর করা হয়েছে। মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। প্রথমে সিবিআই তদন্তের দাবি করেও সুর বদল নিহতের স্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সিআইডি তদন্তের দাবি করেন তিনি।
কী ঘটেছিল?
পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে খুন হন নদিয়ার তৃণমূল নেতা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাড়ি ফেরার পথে তাঁর রাস্তা আটকে গুলি-বোমা ছুড়ে খুন করা হয়। নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও এই ভাবে তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে হইচই পড়ে যায়। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে দেহ পৌঁছলে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা দেখা দেয়। অপরাধীদের চিহ্নিত করতে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন নিহত মতিরুল ইসলাম বিশ্বাসের স্ত্রী। পরে অবশ্য তিনি অবস্থান পাল্টে সিআইডি তদন্তের আর্জি জানান।
নেপথ্য়ে কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?
প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছে তাতে নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ফলে জোরাল হচ্ছে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব। যদিও, এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী প্রথম সিবিআই তদন্তের দাবি করলেও নওদা থানায় অভিযোগ দায়েরের পর তিনি সিআইডি তদন্তের দাবি করেছেন। স্বামীর এভাবে প্রাণ যাওয়ার ঘটনায় কার্যত দিশেহারা তাঁর পরিবার। চোখের জল মানছে না বাধা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী, একপ্রকার দায়ী করেছেন স্বামীর রাজনীতি করাকেই। নিহত স্ত্রীর অভিযোগ, পার্টি করতে গিয়েই তাঁর স্বামীর মৃত্যু হল। কান্নায় ভেঙে পড়ে বললেন মুর্শিদাবাদে নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী। উল্লেখ্য়, দিনতিনেক আগেই তৃণমূলের বিবাদ মেটাতে গিয়ে বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন এক কনস্টেবল। শাসক-নেতার ছেলের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ। নেতা-সহ গ্রেফতার করা হয় ৪১ জনকে। তৃণমূলের বিবাদে বসিরহাটে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। ব্লক সভাপতির অপসারণের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ।