রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ:  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি  অধীর চৌধুরীকে কালো পতাকা ও হেনস্থার চেষ্টার অভিযোগে আজ মুর্শিদাবাদ জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে দলের কর্মীসমর্থকরা। বেলডাঙায় প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক শফিউজ্জামানের নেতৃত্বে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মীরা। অবরোধ তুলতে যাওয়ায় পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের বচসা বাধে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে কংগ্রেস। গতকাল রানিনগরে অধীর চৌধুরীকে কালো পতাকা দেখানো ও হেনস্থার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসকদল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে।


গতকালই মুর্শিদাবাদের রানিনগরে, আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ি যাওয়ার পথে, বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অধীর চৌধুরী। তাঁর গাড়ি ঘিরে কালো পতাকা দেখানো হয়। বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল, অভিযোগ করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। তাঁর এই অভিযোগ স্বীকার করেনি শাসক দল।


 বৃহস্পতিবার সকালে, রানিনগরে ৩ কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে হামলা হয়।ভাঙচুর করা হয় ঘরবাড়ি। চলে লুঠপাট। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতির নেতৃত্বেই হামলা চলে।  শুক্রবার সকালে আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান অধীর চৌধুরী।সেই সময়ই তাঁর গাড়ি ঘিরে চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভের মুখ পড়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ ধরনের পরিস্থিতি যাতে না ঘটে তার আবেদন জানান। তিনি বলেছেন,  আপনি সকলের মুখ্যমন্ত্রী। সন্ত্রাসের রাজনীতি বন্ধ হোক। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সন্ত্রাস করছে। আমি মনে করি, এতে বাংলার ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হচ্ছে। শ’য়ে শ’য়ে তৃণমূলের লোকেরা কালো পতাকা দেখাচ্ছে। আমি কী মারামারি করতে এসেছি? আক্রান্ত মানুষের ফোন পেয়ে বিবেকের তাড়নায় এসেছি।যদিও তাঁর অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ব্লক সভাপতি শাহ আলম সরকার ।  তিনি পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, যাঁরা অভিযোগ করছে, তারাই তো দুষ্কৃতী। এরাই তো আমার গাড়ির ওপর বোমা ফেলে। সাজানো ঘটনা। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়ন করা হয় পুলিশ বাহিনী।