কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: হুমায়ুন সাপোর্টস হুমায়ুন! মুর্শিদাবাদে 'বাবরি মসজিদ'-এর শিলান্যাসের আবহে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের পাশে দাঁড়ালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন IPS অফিসার আরেক হুমায়ুন কবীর। বললেন, এটা নিয়ে একটা আবেগ তৈরি হয়েছে। এমনকী নেমসেক-এর কারণে তাঁকেও অনেকে ফোন করে বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য টাকা দিতে চাইছেন বলে জানিয়েছেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক।
সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, 'জনগণের যে দানের টাকা, সেটা কীভাবে তারা দিয়েছে, সেটা এখানে কাউন্ট করা হচ্ছে।'ডেবরা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, নামাজ পড়েই ফোনটা করছে। আপনি QR কোড দিন, UPI নম্বর দিন। টাকা ট্রান্সফার করব। সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদের শিলান্য়াস ঘিরে এখন সাজো সাজো রব!লক্ষ লক্ষ টাকা জমা পড়ছে! মেশিনে টাকা গোনা হচ্ছে, ব্য়াঙ্কে জমা দেওয়া হচ্ছে। এই আবহেই সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কার্যত পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবীর!
ডেবরা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন,' আবেগ একটা তৈরি হয়েছে। এটা আমি বুঝতে পারছি। আসলে আমি দেখেছি যারা ধর্মপ্রাণ মুসলিম তারা মসজিদের ব্যাপারে খুব স্পর্শকাতর। এটা দেখুন ৩৩ বছর আগে বাবরি মসজিদ ভেঙে দিয়েছে, এটা কেউ ভোলেনি। যেই শুনেছে বাবরি মসজিদ নাম, সেই সবাই ঝাপিয়ে পড়েছে ওর মধ্যে, যে আমিও তার অংশ হতে চাই। আপনারা তৈরি করুন আমিও তার অংশ হতে চাই। 'মুর্শিদাবাদের বুকে বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য় টাকা নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য় করেছেন দুই হুমায়ুনই!
সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, কালকে যে ভিত্তিস্থাপন সেখান থেকে আজ অবধি যেটা ব্যাঙ্কে এসেছে সেটা হচ্ছে, তার অ্যামাউন্ট হচ্ছে ৯৩ লক্ষ। ডেবরা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, হুমায়ুন কবীর নামটা পেয়েছে বলেই ভুল করে আমার কাছে ফোনটা আসছে। আপনি QR কোড দিন, UPI নম্বর দিন। টাকা ট্রান্সফার করব। আমিও সামিল হতে চাই। হুজুর আমি নয়, অন্য কেউ আছে। কিন্তু আমি ওই হুমায়ুন নই। লাস্টে এরকম বলছে, আপনি টাকা নিয়ে নিন। আপনি তো ওনাকে চেনেন, ওনাকে দিয়ে দেবেন। রাজ্য়ের সংখ্য়ালঘু ভোটব্য়াঙ্কের ওপর এখন তৃণমূলের একচ্ছত্র আধিপত্য়!সংখ্য়ালঘু অধ্য়ুষিত ৩ জেলার মধ্য়ে ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে, মুর্শিদাবাদের ২২টি আসনের মধ্য়ে ২০টিতেই জয়ী হয় তৃণমূল। মালদায় ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্য়ে ৮টিতে জয়ী হয় তারা। উত্তর দিনাজপুরের ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্য়ে ৭টিতে জেতে তৃণমূল। এখন প্রশ্ন হল, হুমায়ুন কবীরের বাবরি মাসজিদের শিলান্য়াসের ফলে কি তৃণমূলের এই নিরাপদ ভোটব্য়াঙ্কেও এবার ধাক্কা লাগবে?