কলকাতা: সামশেরগঞ্জে (Murshidabad Chaos) বাবা-ছেলে খুনে গ্রেফতার আরও এক। চোপড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জিয়াউল শেখকে। জোড়া হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ধৃত ৪। পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ধৃত।
পুলিশের জালে আরও এক: মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত জিয়াউল শেখ। পুলিশ সূত্রে খবর, হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের খুনে অন্যতম মূল চক্রী সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা জিয়াউল। এই ঘটনায় আগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের জেরা করে জিয়াউলের নাম উঠে আসে। হামলা চালানোর জন্য জিয়াউলই সকলকে জড়ো করেছিলেন বলে খবর পুলিশ সূত্রে। জাফরাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় এই নিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, মাথা কে? কার কথায় হামলা? এখনও ধন্ধ।
কী ঘটেছিল?
ওয়াকফ সংশোধিত আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদের নামে জ্বলেছে হিংসার আগুন। আর তাতেই জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গেছে কিছু নিরীহ মানুষের জীবন। ধুলিয়ানের জাফরাবাদে নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হয়েছে দাস পরিবার। বাড়ি থেকে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে বাবা-ছেলেকে। নিহতদের নাম হরগোবিন্দ দাস (৭০) এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাস (৪০)। গত ১২ এপ্রিল সকালে আচমকা একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয় বাড়িতে। থান ইট, অস্ত্রের বাড়ি মেরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে। চলে ভাঙচুর, লুঠ, লাথি মেরে ভেঙে দেওয়া হয় মাটির উনুন। সেই সময় ঘরে ছিলেন মহিলা, শিশু-সহ পরিবারের দশ জন। তাদের চোখের সামনেই বাবা-ছেলেকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে, থেঁতলে খুন করা হয় বাবা-ছেলেকে। বাবা-ছেলেকে খুনের পর বোমা ছুড়তে ছুড়তে এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা।
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হত্যাকাণ্ডের ৩ দিন পর, সুতির বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় দিলদার নাদাবকে। বীরভূমের মুরারই থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তার ভাই কালু নাদাবকে। জোড়া হত্যাকাণ্ডের ৫ দিনের মাথায় গত ১৭ এপ্রিল মুর্শিদাবাদেরই সুতি থেকে গ্রেফতার করা হয় এই ঘটনার মূল চক্রীকে। জাফরাবাদের বাসিন্দা ধৃত ইনজামুল হকই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। ADG (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানান, "সারা রাত ধরে অভিযান চালিয়ে, আরও একজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। রাজ্য পুলিশের STF তাঁকে গ্রেফতার করেছে সুতি থানা এলাকা থেকে। যার নাম ইনজামুল হক এবং বাড়ি জাফরাবাদে যেখানে খুনটি হয়েছিল, তার সংলগ্ন এলাকা শুলিপাড়া। সেই শুলিপাড়ার বাসিন্দা।''