রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে বিপাকে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই ও যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই নেতারা। মুর্শিদাবাদের সুতিতে মহামারী আইনে মামলা রুজু করে তিন নেতাকে নোটিস পাঠাল পুলিশ।
করোনা আবহে ছাত্রভর্তি নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে আইনি গেরোয় এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই। মিছিল, জমায়েতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মহামারী আইনে মামলা দায়ের করল পুলিশ।ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সুতিতে।
সুতি থানা এলাকায় এ বছর মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার ছাত্রছাত্রী। তাদের মধ্যে ১৪০০ পড়ুয়া একাদশে ভর্তি না হতে পারায় শুরু হয় আন্দোলন। এসএফআই ও ডিওয়াইএফ-এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার মিছিল করে পড়ুয়ারা জমায়েত করে সুতি ২ নম্বর ব্লকে বিডিও অফিসের সামনে। পড়ুয়াদের নিজের পছন্দ মতো বিষয়ে পড়ার সুযোগ ও একাদশে ভর্তির দাবিতে বিডিওকে দেওয়া হয় স্মারকলিপি।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিন নেতা তফিজুল ইসলাম, জাহাঙ্গির শেখ ও সারিফ আহমেদের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশের নোটিস। ২ সেপ্টেম্বর তাঁদের দেখা করতে বলা হয় সুতি থানায়।
ডিওয়াইএফআইয়ের স্থানীয় নেতা জাহাঙ্গির শেখ বলেছেন, শাসকদলের নির্দেশ পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়ে এই ধরনের মামলা করেছে। যতক্ষণ ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি না হলে আন্দোলন চলবে।
ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে কংগ্রেস-বিজেপি।সুতি ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মতিউর রহমান বলেছেন,পুলিশের এই ধরনের আচরণের নিন্দা করছি। আমরা আন্দোলনকারীদের পাশে থাকব। ছাত্রভর্তির দাবি করছি।
বিজেপির যুব নেতা কৌশিক দাস বলেছেন, ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছিল। সেই আন্দোলনকারীদের ওপর মামলার নিন্দা করছি।
যদিও প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ করেছে বলে দাবি তৃণমূল ছাত্র নেতার।মুর্শিদাবাদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি ভীষ্মদেব কর্মকার বলেছেন, শিক্ষা দফতর রয়েছে। তারাই ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির ব্যবস্থা করবে। এ নিয়ে অযথা আন্দোলনের নামে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। প্রশাসন ঠিকই করেছে।
এই দড়ি টানাটানির মধ্যে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চিয়তায় ছাত্রছাত্রীরা।