রাজীব চৌধুরী, মূর্শিদাবাদ:  ফিরল পুরনো স্মৃতি। ধানঘরার মতোই ধ্বংসলীলা কামালপুরে। বর্ষার (rain) আতঙ্ক কাটল না শীতের মরসুমেও। সামসেরগঞ্জের (samserganj) নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালপুর পশ্চিমপাড়ায় বিধ্বংসী গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভাঙন। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ১০ টি বাড়ি ইতিমধ্যেই গঙ্গা বক্ষে তলিয়ে গিয়েছে। শীতের মরসুম গঙ্গায় জলস্তর কমার সাথে সাথে  শুরু হয়েছে নদী ভাঙন, আতঙ্কিত অসহায়রা। ৫০ মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন হয়েছে এদিন সকাল থেকে। ভাঙন আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে আশংকা প্রবল।  যে কোন সময়ে ভেঙে যেতে পারে ঘর বাড়ি। নদী পাড়ের বাসিন্দারা প্রানে বাঁচতে পাকা ইটের বাড়ি ভাঙতে শুরু করেন। ইটের টুকরো গুলো বাঁচাতে চলে মরিয়া চেষ্টা। শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে চাইছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। 
পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নীচে ঠাই হয়েছে বহু পরিবারের। অনেকেই আম বাগানে আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয়হীন পরিবারগুলির দাবি, গঙ্গা পাড় বাঁধানো হয়, স্থায়ী সমাধান হোক। পুনর্বাসনের জন্য কোন ব্যবস্থা হোক দ্রুত। কামালপুর গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ধ্বংসের চিহ্ন।


গত কয়েক মাসে, নিম্নচাপের জেরে প্রবল বর্ষণ হয়েছে  দক্ষিণবঙ্গে।  এর মধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দেয় পূর্ণিমার কটাল। নিম্নচাপ ও  পূর্ণিমার কটালের জোড়া ফলায় জেরবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।  এরমধ্যে ঘটল বিপত্তি। হুগলি নদীতে তলিয়ে গেল আস্ত স্কুল বাড়ি। গঙ্গাসাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপে নদী ভাঙ্গনের ফলে হুগলি নদীর গর্ভে তলিয়ে গেল খাশিমারা নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়। বুধবার বিকেলে হঠাৎ করে হুগলি নদীতে ভাঙ্গন দেখতে পান স্থানীয় কয়েকজন। কিছু বুঝে ওঠার আগে আস্ত স্কুল বাড়িটি হুগলি নদীর করাল গ্রাসে নিমজ্জিত হয়। টানা বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনের বেশ কয়েকটি কাঁচা বাড়ি এরমধ্যে প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন স্কুল ও ফ্লাট সেন্টার গুলি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ বিকেলবেলা আস্ত স্কুলবাড়ি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয়রা।


এই দ্বীপ এমনিতেই ভাঙন-কবলিত। তার ওপর আমফান, ইয়াসের দাপটে পরে এখানকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। চাষের জমি থেকে মানুষের বসতবাটিও নদীগর্ভে চলে যাওয়ার খবর সামনে এসেছে। এরইমধ্যে এই বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে।