বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ফের পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Midnapur) তমলুকে (Tamluk) বিজেপিতে (BJP) ভাঙ্গন। তৃণমূলের  (TMC) দাবি, তমলুক নগরমণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক সৌমেন চক্রবর্তী সহ একাধিক নেতা যোগ দিয়েছেন তাদের দলে। বিজেপির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই তৃণমূলে, দাবি করেছেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। দলবদলকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব।


পুর ভোটের আগে ফের বিজেপিতে ভাঙন।  ফের পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে ফাটল ধরল গেরুয়া শিবিরে।তৃণমূলের দাবি, বৃহস্পতিবার তমলুক নগরমণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক সৌমেন চক্রবর্তী সহ একাধিক নেতা, বুথ সভাপতি যোগ দিয়েছেন তাদের দলে। সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর হাতে থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন যোগদানকারীরা।


বিজেপিত্যাগী নেতা সৌমেন চক্রবর্তী বলেছেন, বিশেষ পরিস্থিতির জন্য বিজেপিতে গিয়েছিলাম,  কিন্তু আমার রাজনীতি শুরু এই তৃণমূলে। তাই ফিরে এলাম।


দলবদলকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল বিধায়ক ও সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেছেন, বিজেপির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই ওই নেতারা তৃণমূল শিবিরে যোগ দিয়েছেন।


বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েক পাল্টা বলেছেন, ওই সমস্ত নেতারা কেউই বিজেপিতে সক্রিয় ছিলেন না। অনেক নেতাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গেছেন। এতে বিজেপির কিছু ক্ষতি হবে না।


তমলুক পুরসভার ২০ টি আসনের মধ্যে একুশের বিধানসভা ভোটের নিরিখে মোট ১২ টিতে এগিয়ে বিজেপি, বাকি ৮টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল। এবার সেখানে শক্তি বাড়াল শাসক দল।


West Midnapore: পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় এক ব্য়ক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার


উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অনেক নেতাই। ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে তৃণমূল। ভোটের আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ওই আসন থেকে জিতে রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা। এরইমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে পদ্মশিবিরে নাম লেখানো অনেক নেতাই ফের তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। পূর্ব মেদিনীপুরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এরইমধ্যে তমলুকে বিজেপি ছেড়ে শাসক দলে নাম লেখালেন আরও কয়েকজন নেতা।