রাজীব চৌধুরী, কান্দি (মুর্শিদাবাদ) : শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানার অন্তর্গত দুর্গাপুরে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে খুনের ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে কান্দি থানার পুলিশ। 


পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে তারক নাথ সাহা, বরুণ ঘোষ ও বিষ্ণু দলুই-এই তিন জনের বাড়ি কান্দি থানার আন্দুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্তোষপুর গ্রামে। এছাড়া অপর এক ধৃত সপ্তম ঘোষ কান্দি থানার রুপপুরের বাসিন্দা।। তাদের বিরুদ্ধে ৩০২, ১২০বি, ২৫, ২৭ আর্মস অ্যাক্টে মামলা রুজু হয়েছে।


প্রসঙ্গত, আত্মীয়ের দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন কান্দির আন্দুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা যমুনা সাহার স্বামী নেপাল সাহা। সেই সময় রাস্তায় তাঁর উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। কান্দি থানার (Kandi in Murshidabad) অন্তর্গত এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত নেপাল সাহার এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিতি ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।


তবে, স্বামী রাজনৈতিক ঝামেলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ জানান যমুনাদেবী। সরাসরি বিজেপি-র দিকে আঙুল তোলেন তিনি। সেই মর্মে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করে কান্দি থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন ; কান্দিতে বাড়ি ফেরার পথে খুন তৃণমূল নেতা, বিজেপি-র দিকে অভিযোগের তির পরিবারের
 
স্থানীয় রেশন ডিলার সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন নেপালবাবু। পরিবারের দাবি, স্থানীয় কয়েক জন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তবে পারিবারিক দ্বন্দ্ব নয়, রাজনৈতিক ঝামেলার জেরেই স্বামীকে প্রাণ হারাতে হয়েছে বলে দৃঢ় বিশ্বাস যমুনাদেবীর।


যদিও জেলা তৃণমূল (Murshidabad TMC) রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে সে ভাবে সরব নয়। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা আইনাল হক। এর আগের দিন তিনি বলেছিলেন, ‘‘ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ খতিয়ে দেখুক এবং দোষীদের গ্রেফতার করুক।’’