রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) আর তার আগে ফের রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। গতরাতে ফরাক্কা ও খড়গ্রামের পর এবার নবগ্রামে (Nabagram) ঝরল রক্ত। তৃণমূল কর্মীকে (TMC Worker) লক্ষ্য করে গুলি করা হল বলে খবর।
ফের রক্ত ঝরল মুর্শিদাবাদে
ফরাক্কা, খড়গ্রামের পর এবার নবগ্রাম, মুর্শিদাবাদে ফের ঝরল রক্ত। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করা হল। তৃণমূল কর্মীর বুকে গুলির ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে।
চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে গুলি বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। অবস্থা স্থিতিশীল হলেও অস্ত্রোপচার হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, পিকনিকের সময় ওই তৃণমূলকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
মুর্শিদাবাদে রীতিমতো তৈরি হয়েছে আতঙ্কের পরিস্থিতি। পরপর বোমাবাজি, গুলি চলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আহত তৃণমূল কর্মীর মা। ফরাক্কা, খড়গ্রামের ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পার্শ্ববর্তী এলাকা নবগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ যুবকের বয়স ২৩, সদ্য স্নাতক পাস করেছেন। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে এই যুবক ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। গতরাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। বাড়ি থেকে ফোন করা হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। সকালে বাড়ির লোক দুর্ঘটনার খবর পান।
দুর্ঘটনার পর ওই যুবককে সেখান থেকে কলকাতা নিয়ে আসা হয়। এসব কিছুই তাঁর বাবা-মা জানতে পারেননি। সকালে জেনেছেন। পুলিশে এখনও ধন্দে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল। এই ধন্দ কবে কাটবে? দুর্ঘটনার এই ঘনঘটায় পূর্ণচ্ছেদ পড়বে কবে, সেই প্রশ্নই উঠছে।
আরও পড়ুন: Union Budget 2023: 'এই বাজেট সবার কথা ভেবেছে,' মন্তব্য শমীকের
অন্যদিকে গতকালও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ। রক্ত ঝরে ফরাক্কায়। বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানে বোমাবাজির (bomb blast) ঘটনায় মৃত্যু হয় একজনের। ফরাক্কার (Farakka) কেন্দুয়াতে বোমার আঘাতে মৃত ১ (one dead)। পুরনো বিবাদের জেরেই বোমাবাজি বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতের নাম নাজির শেখ। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিশ। মৃত্যুর খবর ছড়াতেই এলাকা আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ফরাক্কা থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এমন ঘটনায় ফের উত্তপ্ত কেন্দুয়া। তবে ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান পুরনো বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।