রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: বাইরে বিডিও (BDO), চেম্বারে বসে বৈঠক তৃণমূলের (TMC)! মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও-র ঘরে তৃণমূলের বৈঠক! বিডিও-র চেম্বারে বসেই অভিষেকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে ভগবানগোলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ইদ্রিশ আলির সঙ্গে বিডিও-র চেম্বার থেকেই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন ১০ তৃণমূল নেতা-কর্মী।


ভগবানগোলার বিধায়ক ইদ্রিশ আলির সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক চাঁদ মহম্মদও। পার্টি অফিসে ইন্টারনেট স্লো, সেজন্য বিডিও অফিসে বৈঠক, সাফাই ইদ্রিশ আলির। বিডিও অফিসে দলীয় বৈঠক করা ঠিক হয়নি, মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ আবু তাহেরের। ভেবেছিলাম প্রশাসনিক বৈঠক করবেন, পরে জানতে পারি দলীয় বৈঠক হয়েছে, দাবি বিডিও-র।                                                                                                                     


সমালোচনার মুখে পড়েও অবস্থানে অনড় রইলেন মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। এ প্রসঙ্গে ইদ্রিশ আলি বলেন, 'ফোন, ল্যাপটপে ইন্টারনেট কানেকশন সব জায়গায় থাকে না। আমার তো অন্যান্য ব্যবস্থা নেই। বিডিও অফিসে গেলে এই সংক্রান্ত সমস্যা হবে না, সেটাই ভেবেছিলাম। ঝড়-বৃষ্টি হলে ইন্টারনেট কানেশনে সমস্যা হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সব্রত বক্সীদের মতো নেতাদের কথা নয়তো শুনবো কীভাবে? সেই জন্যই আমি ওখানে করেছি।'                                                   


ভগবানগোলা ২এর বিডিও মহম্মদ ওয়াসিফ খান বলেন, 'এটা উচিত হয়নি। ভেবেছিলাম প্রশাসনিক সভা তাই অনুমতি দিয়েছিলাম। পরে জানতে পেরেছি দলীয় অনুষ্ঠান।' প্রশাসনিক দফতরে বসে কীভাবে দলীয় বৈঠকে অংশ নিলেন বিধায়ক? প্রশ্ন তুলে শাসকদলকে বিঁধেছে বিরোধীরা। 


আরও পড়ুন, 'ভূত'কে বিয়ে করেছিলেন, সেই আত্মাই এখন জীবন নরক করেছে, দাবি মহিলার



এর আগে একাধিকবার তৃণমূলের মঞ্চে কখনও বিডিও তো কখনও পুলিশ আধিকারিককে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। আর এবার বিডিও-র দফতরে বসে দলীয় বৈঠকে অংশ নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক।