রাজীব চোধুরী, মুর্শিদাবাদ : মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বিনা চিকৎসায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। হাসপাতালে আনার পরেও ৪ ঘণ্টা পড়ে ছিল রোগী, কোনও চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষে দাবি, রোগীকে একেবারে মুমূর্ষু অবস্থায় আনায় বাঁচানো সম্ভব হয়নি।


রোগীর পরিবারের বক্তব্য, তাঁরা সকাল ৮টা নাগাদ রোগীকে নিয়ে আসেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। অভিযোগ, তারপর ৪ ঘণ্টা ধরে তাঁর চিকিৎসা হয়নি। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়েছে।


যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, তাঁকে যখন এমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয় তখন তাঁর ইসিজি করা হয়েছিল। ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় এবং তাঁকে চেস্টের ওপিডি-তে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসক দেখেন। তারপরেই তাঁর মৃত্যু হয়। 


মেডিক্যাল কলেজের তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই রোগীকে যে অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল তাতে তাঁকে বাঁচানোর মতো পরিস্থিতি ছিল না। সেইজন্য মৃত্যু হয়েছে।


যদিও পরিবারের লোকজনের এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। তাঁদের পাল্টা দাবি, চিকিৎসকরা ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা না দেওয়ায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। 


এনিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে রোগীর পরিবার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে চাপানউতোর চলে। গোটা ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। 


এদিকে RG কর কাণ্ডের জেরে চলছে দেশজুড়ে প্রতিবাদ। কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা। তার প্রভাব পড়ল রোগী পরিষেবায়। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে স্বাস্থ্য পরিষেবায় কার্যত অচলাবস্থা চলছে। পরিস্থিতি সামলাতে বৈঠকে আর জি কর কর্তৃপক্ষ। উপায় খুঁজতে বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে আর জি করের উপাধ্যক্ষ। 'জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলাকালীন পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করবেন সিনিয়র ডাক্তাররা'। আন্দোলনে সামিল হবেন না নার্সিং স্টাফরা, বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


এদিকে সুপার-অপসারণের পর এবার আর জি কর কাণ্ডে অধ্যক্ষর ইস্তফা। পড়ুয়াদের প্রবল চাপের মুখে ইস্তফা আর জি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। পরে স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে ইস্তফা জমা দিলেন সন্দীপ ঘোষ। 'পড়ুয়া, মানুষ এটাই চেয়েছিলেন। কেউ বাধ্য করেনি, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম।' এমনই দাবি আর জি কর মেডিক্যালের পদত্যাগী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। মুখের কথায় বিশ্বাস করি না, লিখিত আকারে পদত্যাগপত্র চাই, দাবি আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের। যা ঘটেছে তার দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে, লিখিত ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি করেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।