মুর্শিদাবাদ: সামনেই ভোট। তার আগেই এলাকায় উত্তেজনা। প্রার্থীর বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। এখানকার পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, গতকাল রাতে কংগ্রেস প্রার্থী স্বপন কর্মকারের বাড়িত হানা দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। ভাঙা হয় বাড়ির দরজা। বাইরে থেকে গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই রাতেই বহরমপুর থানার পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। তবে কেন, কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।


এদিকে, রাজ্যের অন্য প্রান্তে মহেশতলা পুরসভাতে তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী-বিভ্রান্তির ছবি। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়ন দিলেন না তৃণমূলের দুই তালিকায় নাম থাকা প্রার্থী। আর মনোনয়ন (Nomination) দিলেন যিনি, তাঁর নাম নেই কোনও তালিকাতেই।


দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মন্ডহারবার এবং বজবজ পুরসভায় শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্বের অনুমোদিত তালিকায় নাম থাকা একজন প্রার্থীও মনোনয়ন দেননি। ২ পুরসভার সবক'টি ওয়ার্ডে মনোনয়ন দিয়েছেন প্রথম তালিকার প্রার্থীরা। 


এই প্রেক্ষাপটে মহেশতলা পুরসভায় দেখা গেল অন্য ছবি। তৃণমূলের প্রথম তালিকা এবং চূড়ান্ত তালিকা, দু'টিতেই ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে নাম ছিল জগন্ময় পালের। কিন্তু, তিনি মনোনয়নই পেশ করেননি।


প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা তৃণমূল নেতা জগন্ময় পালের কথায়, 'দুটো-একটা দেওয়াল লিখেছিলাম। সেটা মুছে দিয়েছে। মানুষ বিভ্রান্ত। নেতৃত্ব কী যে করছে বুঝছি না। আমি কেঁদে ফেলেছি। বৃদ্ধ বয়সে এই হ্যারাসমেন্ট না করলেই পারত! একটা দল থেকে দু’টো প্রার্থী হতে পারে নাকি!'


তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছেন গোপাল সাহা। যাঁর নাম কোনও তালিকায় ছিল না। 


মনোনয়ন পেশকারী তৃণমূল প্রার্থী গোপাল সাহা, 'আমি টিম অভিষেকের সংগঠন চালাই। দুলাল দাস আমাকে পাঠিয়েছেন। আমার নেতৃত্ব বলেছে নমিনেশন দাও। পার্টি ঠিক করুক কী করবে? উচ্চনেতৃত্ব অ্যানেকসচার দিয়েছে।'


৩৫টি ওয়ার্ডে ৩৮ জন প্রার্থী। ৩টি ভেজাল, বলছেন প্রাক্তন পুরপ্রধান। ৩টি ওয়ার্ডে ২ জন করে তৃণমূল প্রার্থী হওয়ায় অস্বস্তি বাড়ছে দলের অন্দরে।