রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: প্রবল বৃষ্টিতে জল বাড়ছে গঙ্গায়। সেই পরিস্থিতিতে গঙ্গায় বাড়ছে ভাঙনও। মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে গঙ্গায় ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। জলস্তর বাড়তেই শুরু গঙ্গার ভাঙন শুরু।                     


এই ভাঙনের জেরে তলিয়ে গেছে বহু কৃষিজমি। এমনকী কোনও কোনও বাড়ির শৌচালয় থেকে একটি বাড়ির অংশও নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিজেদের সামান্য সম্বল নিয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা। 


যে কোনও মুহূর্তে আরও ৫-৭টি বাড়ি তলিয়ে যেতে পারে বলে অনুমান স্থানীয়দের। আজ সকাল থেকে সামশেরগঞ্জের নতুন শিবপুর গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। অনেকের চাষের জমি গিলে খেয়েছে গঙ্গা। ভাঙন শুরু হতেই ফিরেছে চেনা ছবি। শেষ সম্বলটুকু বাঁচানোর জন্য গ্রাম ছাড়ছেন গঙ্গা-পাড়ের বাসিন্দারা।                                                                                             


কিছুদিন আগে গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির আশ্রমের সামনের সমুদ্রতট তলিয়ে যায় সমুদ্রবক্ষে। গঙ্গাসাগরের ভাঙন রুখতে তাই IIT চেন্নাইয়ের সাহায্য নিতে চলেছে রাজ্য সরকার, এমনটাই সূত্রের খবর ছিল। গত কয়েকদিনের ভাঙন-পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগরের বিপর্যস্ত অবস্থা ছিল। কপিল মুনির আশ্রমের সামনে ১ থেকে ৫ নম্বর স্নানঘাটে যাওয়ার জন্য পূর্ত দফতরের তৈরি কংক্রিটের রাস্তা জলের তোড়ে ভেঙে যায়। সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যায় বিদ্যুতের খুঁটি, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জলের লাইন। প্রচুর অস্থায়ী দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 


আরও পড়ুন, চুরি করতে এসে মাথায় হাত! রেগেমেগে গৃহস্থকেই টাকা দিয়ে গেল চোর


ভীষণ আতঙ্কে ছিলেন এই এলাকার বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতি ও শুক্র দু’দিন ধরে ভাঙন এলাকায় সমীক্ষা চালায় সেচ ও সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই উপগ্রহ-চিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। অতীতে ভাঙন রোখার ঘটনায় IIT চেন্নাইয়ের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। এবারও সেই পথেই এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। 


 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে