নয়া দিল্লি: দু'চোখে স্বপ্ন ছিল আইএসএস হওয়ার। সেই কারণেই দিল্লিতে এসেছিলেন কোচিং নিতে। আর সেই কোচিং সেন্টারেই ঘনিয়ে এল মৃত্যু। লাগাতার বৃষ্টিতে কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে হু হু করে ঢুকল জল। সেই জলেই ডুবে মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গানা ও কেরলের বাসিন্দা ৩ পড়ুয়ার।


এই মৃত্যুতেই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। শনিবার লাগাতার বৃষ্টির সময় এই কোচিং সেন্টারের ভিতরে হঠাৎ হু হু করে ঢুকতে শুরু করে জল। সেই সময় ওই কোচিং সেন্টারের লাইব্রেরিতে ছিলেন বেশ কয়েকজন পড়ুয়া।  কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রায় গোটা বেসমেন্ট ডুবে যায় নোংরা জলে। জলের মধ্যে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। কীভাবে বেসমেন্টটিকে অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়ে ছিল। কোনও এমারজেন্সি বেরনোর ব্যবস্থা কেন ছিল না? ৩ পড়ুয়ার মৃত্যুতে উঠছে নানা প্রশ্ন। 


দিল্লির এই Rau's IAS Study Circle-কোচিং সেন্টারটিকে ইতিমধ্যেই বন্ধ করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই সেন্টারের মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।                                             


এই মর্মান্তিক মৃত্যু তদন্তে নেমে পুলিশের নজরে এসেছে বেশ কিছু অজ্ঞাত বিষয়। কোচিং সেন্টারের মালিক এবং কর্তৃপক্ষের তরফে একাধিক ত্রুটির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০২১ সালের আগস্টে দিল্লির মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন থেকে একটি NOC সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বেসমেন্টের পার্কিং ব্যবহার করা ও স্টোরেজ করার কথা জানা গিয়েছে। কোচিং সেন্টার এই মাসের শুরুতে ফায়ার ডিপার্টমেন্ট থেকে একটি এনওসি পেয়েছে।


আরও পড়ুন, মানুষের খোঁজে ওত পেতে, ছেলের সামনেই বাবাকে টেনে নিয়ে গেল কুমির!


তবে সেই এনওসিতে বলা ছিল বেসমেন্টটি যদি অফিস এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় তবে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রস্থান পথ এবং প্রবেশের উপায় থাকতে হবে। এই কোচিং সেন্টারে শুধুমাত্র একটি প্রবেশ/প্রস্থান ছিল। ড্রেনেজ ব্যবস্থাও যথাযথ ছিল না। যার ফলস্বরূপ এই মৃত্যু। 


তদন্তে নেমে আরও বেশ কিছু এমন কোচিং সেন্টারের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ১৩টি এমন কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে তাঁরা। রাজধানীতে এমন আরও সেন্টার আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে