মুর্শিদাবাদ: দিদির দূত কর্মসূচিতে ফের বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়ক। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক। এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি, এই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। এর আগেও একাধিক জায়গায় একাধিকবার কর্মসূচিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা।


কিছুদিন আগেই জনসংযোগে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মিলছে না বলে অভিযোগ জানিয়ে তাঁর সামনে ক্ষোভ উগরে দেয় একটি পরিবার। এনিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরাও। আর তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য়, সকলে যাতে প্রকল্পের সুবিধা পায়, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে। 


দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে জনসংযোগের লক্ষ্য়ে, দিদির সুরক্ষাকবচ এবং দিদির দূতের মতো কর্মসূচি নিয়ে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। বুধবার সেই কর্মসূচিতে, এক গ্রামে গিয়ে, মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান। যিনি মুর্শিদাবাদ বহরমপুর সাংগঠনিক চেয়ারম্য়ানও।তাঁকে সামনে পেয়ে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মিলছে না বলে অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসী এক মহিলা এবং তাঁর স্বামী।


দিদির দূত কর্মসূচিতে, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছেন এবং খোঁজ নিচ্ছেন, তাঁরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা। বুধবার ভরতপুরের শিমুলগাছি গ্রামে যান তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান। ঘুরে ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপরই দাওয়ায় বসে থাকা এই মহিলা ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে যান তৃণমূল সাংসদ। সরকারি প্রকল্পের কথা উঠতেই তৃণমূল সাংসদের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। 


গ্রামবাসীদের অভিযোগকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেরি করেনি বিরোধীরা। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। সাধারণ মানুষের একাংশের এই ক্ষোভের আঁচ কি ভোটবাক্সে পড়বে? নাকি জনসংযোগে ভর করে, তা সামাল দিতে পারবে তৃণমূল? সেই উত্তর দেবে সময়। 


কোচবিহারেও দিদির দূত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। এবার দিদির দূত হিসেবে গিয়ে দলীয় কর্মীদেরই ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান গিরিন্দ্রনাথ বর্মন। মাথাভাঙার ফুলবাড়ি অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি বিনয় বর্মনকে সরানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের একাংশ। এদিন সেই অঞ্চল সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে জেলা চেয়ারম্যান দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে গেলে, ক্ষোভ উগরে দেন দলীয় কর্মীরা। যদিও কোনও বিক্ষোভ হয়নি বলে দাবি করেছেন জেলা চেয়ারম্যান। তবে গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি।