রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ : সম্প্রতি কলকাতা, উত্তর দিনাজপুর থেকে জলপাইগুড়ি, একাধিক ঘটনায় আক্রান্ত হতে হয়েছে পুলিশকে। কিন্তু অভিযোগ, এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (TMC Inner Clash) জেরে, মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) জনরোষের মুখে পড়তে হল পুলিশকে !


স্থানীয় সূত্রে দাবি, রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) রবিউল আলম চৌধুরী ও বেলডাঙা ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি আতাউর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ রয়েছে। অভিযোগ দিন কয়েক আগে তৃণমূল বিধায়কের অনুগামী এক কলেজ পড়ুয়াকে মারধর করে ব্লক তৃণমূল সভাপতির অনুগামীরা। মারধরের সেই ফুটেজ ভাইরাল হয়। আক্রান্ত ছাত্রের পরিবারের দাবি, এ নিয়ে থানায় গেলেও অভিযোগ নিতে রাজি হয়নি পুলিশ।


এই পরিস্থিতিতে ছাত্রের পরিবারের দাবি, রবিবার আক্রান্ত কলেজ পড়ুয়াকেই গ্রেফতার করতে আসে পুলিশ। আর তাতে বাধা দিতেই উত্তেজনা ছড়ায়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। জনরোষের মুখে পড়ে কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন পুলিশ কর্মীরা (Police)। আক্রান্তের পড়ুয়ার এক আত্মীয়ের দাবি, 'আমার দেওরকে মেরেছে। পুলিশ এসে বলছে যে ওপরমহলে চাপ আছে, থানায় যেতে হবে। আমাদের ওপর অত্যাচার করছে আতাউরের লোকরা। আমরা রবিউলের পার্টি করি।' আতাউর রহমান ও রবিউল আলম চৌধুরী একে অপরের অনুগামীদের দিকে দোষ চাপিয়েছেন। এদিকে, গোটা ঘটনা ঘিরে রাজ্যের শাসকদলকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। 


পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) সময় থেকে এই মুর্শিদাবাদে একাধিকবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার হয়েছে তৃণমূল (TMC)। বেনজিরভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন একাধিক বিধায়ক। সম্প্রতি নওদায় আলাদা আলাদা করে বিজয়া সম্মিলনী পালন করতে দেখা যায় তৃণমূলের বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিকে।


আর এবার সেখানেই মুর্শিদাবাদেই তৃণমূল বিধায়ক ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অনুগামীদের লড়াইয়ে আক্রান্ত হতে হল পুলিশকে। পুলিশ সূত্রে দাবি, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে।                                                                                                                                                      


আরও পড়ুন- তৃণমূল বিধায়কের সামনেই 'চোর ধরো, জেল ভরো স্লোগান' বিজেপির, চেয়ার ছোড়াছুড়ি, মারপিট