রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে ধারাল অস্ত্র উঁচিয়ে কংগ্রেসের প্রধানের স্বামীকে খুনের হুমকি। প্রতিবাদ করায় প্রধানকে গালিগালাজ। এমনই অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের ভরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। সিসি ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে কংগ্রেসের প্রধানের স্বামীকে শাসানোর ঘটনা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ভরতপুর থানার পুলিশ। কংগ্রেসের দাবি, গত পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএমের হয়ে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হেরে যান অভিযুক্তের স্ত্রী। সেই থেকেই আক্রোশ বাড়ে। এর মধ্যেই ১০ হাজার টাকা খোয়া যাওয়ার অভিযোগ তোলেন অভিযুক্ত। তা নিয়ে জয়ী কংগ্রেস সদস্যার স্বামীর সঙ্গে ফের বিবাদ বাধে। কংগ্রেস প্রধানের স্বামী গোটা ঘটনা জেনেও অভিযুক্তদের মদত দিচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে গতকাল পঞ্চায়েত অফিসে চড়াও হয় অভিযুক্ত।                                                                                                                      


পঞ্চায়েতের অফিস! চেয়ারে বসে আছেন কংগ্রেসের প্রধান! সামনেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারমুখী মেজাজে সিপিএম কর্মী! তাঁকে থামানোর চেষ্টা করছেন প্রধানের স্বামী! খোওয়া যাওয়া ১০ হাজার টাকা নিয়ে অশান্তির আঁচ গিয়ে পড়ল মুর্শিদাবাদের ভরতপুর পঞ্চায়েত অফিসে!


আর তা নিয়েই যতকাণ্ড! ফুটেজে যাঁকে হুমকি দিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি ভরতপুর পঞ্চায়েতের পরাজিত সিপিএম প্রার্থীর স্বামী মোক্তার মল্লিক। কিন্তু, কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান এবং স্বামীর প্রতি তাঁর এত রাগ কেন? পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২১ অক্টোবর মোক্তারের ঘনিষ্ঠ এক লটারি বিক্রেতার ১০ হাজার টাকা খোওয়া যায়। মোক্তারের স্ত্রী, যাঁর কাছে ভোটে হারেন, কংগ্রেসের সেই জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য রীতা দাসের স্বামী, কার্তিককে টাকা উদ্ধার করে দিতে বলেন সিপিএম কর্মী।


এ নিয়ে সালিশিও বসে। কিন্তু, টাকা উদ্ধার হয়নি। অভিযোগ, সেই রাগেই বুধবার পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে চড়াও হন মোক্তার। প্রধানের সামনেই ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে। গত পঞ্চায়েত ভোটের ফলকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক রেষারেষি চলছিল কি না, তা নিয়েও চলছে জল্পনা।