কলকাতা: মুর্শিদাবাদ-দাঙ্গায় নিহত হয়েছিলেন হরগোবিন্দ-চন্দন দাস। গত ১২ এপ্রিল, 'হিন্দু' বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয়েছিল বলে গুরুতর অভিযোগ ওঠে। এবার সেই হত্যাকাণ্ডে, CBI তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের অতিসক্রিয়তার অভিযোগেও হাইকোর্টে নিহতের পরিবার।
আরও পড়ুন, 'দাঙ্গাকারীদের উপরেই আপনি ভরসা করেছিলেন..' ! মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর
ওয়াকফ সংশোধিত আইনের বিরোধিতায় মুর্শিদাবাদে শুরু হওয়া দাঙ্গায় জাফরাবাদে, গত ১২ এপ্রিল বাড়ি থেকে টেনে বের করে কুপিয়ে, থেঁতলে খুন করা হয়েছিল বাবা-ছেলে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসকে। সেই ঘটনার প্রায় ৩ সপ্তাহ পর, মুর্শিদাবাদে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নিহতের পরিবার শনিবারই কলকাতায় চলে আসায় শুরু হল নতুন বিতর্ক! বিজেপির বিরুদ্ধে পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিনই জোড়া খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করলেন নিহত দু'জনের স্ত্রী। আর এ নিয়েই শুরু হল নতুন বিতর্ক। শনিবার সল্টলেকের বি জি ব্লকের একটি বাড়িতে এসে ওঠে নিহতদের পরিবার। আর রবিবার সাত সকালে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ।
অভিযোগ, দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে তারা। নিহত হরগোবিন্দ দাসের মেয়ে যুথিকা দাস বলেন, এখনও ভয় দেখানো হচ্ছে। কালকে থেকে এসেছি। কই মমতা খোঁজ নেয়নি তো কী খাচ্ছি না খাচ্ছি। আজকে ... কী করতে এসেছে মমতার পুলিশ? মমতার পুলিশ তখন কোথায় ছিল? ৪ ঘণ্টা পড়েছিল আমার বাবা, ভাই, তখন কোথায় ছিল তার পুলিশ? এর মধ্যেই সজল ঘোষ, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি-সহ বিজেপি নেতৃত্ব হাজির হয় সেখানে। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় তুমুল বচসা। এই অবস্থায় এদিন, মুর্শিদাবাদে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন,আমি ওদের(নিহতদের পরিবার) বাড়িতেও যেতাম। কিন্তু যেহেতু বিজেপি ওদের ২জনকে সরিয়ে নিয়ে গেছে। বিজেপির বোঝা উচিত, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যারা করে, তাদের আমরা ক্রিমিনাল বলি। তাদের আমরা কোনও ধর্ম, বর্ণ, জাতি হিসেবে বিচার করি না। পুলিশের গুলিতেও একজন মারা গেছে। ৩জন। তাছাড়াও আমি কালকে তেহট্টে যে জওয়ান মারা গেছেন, তাঁর পরিবারকেও ডেকেছি, সুতিতে আসবে।'
তিনি আরও বলেন,' শকুনি মামা দয়া করে হবেন না। লাল শাক আর লাউ শাক এক নয়। আমি না হয় দুটো পরিবারের সঙ্গে দেখা করে দশ লক্ষ টাকা করে, আমাদের কমিটমেন্ট ছিল, তুলে দিয়ে আসতাম। তো আপনারা লুকিয়ে নিয়ে গেলেন কেন? এটা কিডন্য়াপ করে নিয়ে যাওয়া নয় কাউকে? তাদের দিয়ে কালকে আমাকে খুব গালাগালি দিয়েছেন। দিন না।বিজেপির বোঝা উচিত, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যারা করে, তাদের আমরা ক্রিমিনাল বলি। তাদের আমরা কোনও ধর্ম, বর্ণ, জাতি হিসেবে বিচার করি না। পুলিশের গুলিতেও একজন মারা গেছে। ৩জন। তাছাড়াও আমি কালকে তেহট্টে যে জওয়ান মারা গেছেন, তাঁর পরিবারকেও ডেকেছি, সুতিতে আসবে।