বহরমপুর: পর পর কয়েক দিন বৃষ্টির পর বিরতি। বৃহস্পতিবার বৃষ্টিতে ভেজার সম্ভাবনা নেই মুর্শিদাবাদ জেলার। সকালের দিকে বৃষ্টি হয়নি। বিকেলের পরও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির উপরই থাকবে জেলায়। বাড়বে আর্দ্রতার হার। বৃহস্পতিবার এমনই থাকবে মুর্শিদাবাদের সামগ্রিক আবহাওয়া (Murshidabad Weather)।  

আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা ক্ষীণ মুর্শিদাবাদে, গরমে থাকবে অস্বস্তি

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জেলায় দিনভর আকাশ আংশিক মেঘলাই থাকবে। সকালের দিকে বৃষ্টি হয়নি। বিকেলের পরও বৃষ্টির সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে দমকা হাওয়া বইবে। হাওয়ার গতিবেগ থাকবে সর্বোচ্চ ২৬ কিলোমিটার পর্যন্ত। কিছু জায়গায় বজ্র-বিদ্যুৎ সহকারে ঝড় উঠতে পারে।

বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাতের দিকে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। এ দিন জেলায় বাতাসে আর্দ্রতার হার ৮২ শতাংশের মতো থাকবে। 

একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুর্শিদাবাদের আজকের আবহাওয়ার আপডেট- 

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসসর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস

বাতাসের আর্দ্রতা- ৮২ শতাংশ

সামগ্রিক আবহাওয়া-  আংশিক মেঘলা আকাশ, ঝোড়ো হাওয়া

বাতাসের গতিবেগ- ঘণ্টায় ২৬ কিলোমিটার সর্বোচ্চ

চন্দ্রোদয়ের সময়- ৩টে বেজে ১০ মিনিট

চন্দ্রাস্তের সময়-৫টা বেজে ০৪ মিনিট

আরও পড়ুন: Medinipur Weather: আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই, আকাশ তুলনামূলক পরিষ্কার

আংশিক মেঘলা আকাশ, সঙ্গে দমকা হাওয়ার দাপট

রাজ্য়ের পশ্চিমের জেলা মুর্শিদাবাদ ২৪ ডিগ্রি ৫০ মিনিট থেকে ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৪৬ মিনিট পূর্ব থেকে ৮৭ ডিগ্রি ৪৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ৫ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান।

এ দিকে, সামগ্রিক ভাবে জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার ফলে কৃষকাজের উপরেও এই অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতাও। তাতে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। তবে এ বছর এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে চাষের কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পর পর কয়েক দিন বৃষ্টি হলেও, জমিতে জল দাঁড়ানোর মতো পরিমাণ ছিল না। তার ফলে সামগ্রিক ভাবে ফসল উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে।