রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ:  স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত। এই খবর জানার পরেই মাথায় খুন চেপে বসেছিল তাঁর। চেয়েছিলেন স্ত্রী-কে খুন করে দিতে। কিন্তু তা পারেননি তিনি। শেষে নিজেই আত্মহত্য়ার (Suicide) পথ বেছে নিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরপাড়ার ফকিরাবাদে। বুধবার সকালে এই খবর চাউর হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। 


ঠিক কী হয়েছিল?


স্ত্রীকে খুনের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আত্মঘাতী স্বামী! মৃতের নাম নুরাবুল মন্ডল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নুরাবুল মণ্ডলের স্ত্রীর সঙ্গে এক যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই কথা জানাজানি হতেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ বাঁধে। আত্মীয়দের দাবি সেই নিয়ে অশান্তি চলতেই থাকে। এদিন ভোরেও ফের শুরু হয় অশান্তি। সেই সময় স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারেন নুরাবুল মন্ডল, এমনটাই অভিযোগ। এরপরে বাড়ির পেছনে গোরস্থানের কাছে আমগাছে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় নুরাবুলের। পরিবারের সদস্যরা নিকটবর্তী সাগরপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে  চিকিৎসক মৃত বলে জানান। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নরাবুলের স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। সাগরপাড়া থানার পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাগরপাড়া থানার পুলিশ।


পশ্চিম মেদিনীপুরে স্ত্রী-কে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন যুবক


কিছুদিন আগে একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। সেখানে স্ত্রী-কে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন স্বামী। স্ত্রী-কে চপার দিয়ে কেটে বাড়ির অদূরে গিয়ে গলায় দড়ি লাগিয়ে আত্মঘাতী হন স্বামী। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আনন্দপুর থানার টুকুরিয়া পাট এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।


জানা গিয়েছিল সেই ব্যক্তি টুকুরিয়া পাট এলাকার বাসিন্দা অশোক কলা। বয়স ৪৮ বছর। তাঁর স্ত্রী কেকা কলার বয়স ৩৮ বছর।  ঘটনার দিন গভীর রাতে ছুরি দিয়ে কোপ মারলে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন কেকা কলা। স্ত্রী,কেকা কলা মারা যাওয়ার পরেই বাড়ির বাইরে থেকে গেটে শিকল তুলে দেন তিনি। ঘটনাস্থলের অদূরে গিয়ে একটি গোয়াল ঘরে, গলায় দড়ি নিয়ে আত্মঘাতী হন বছর ৪৮ এর অশোক কলা। ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। অন্যদিকে ঘটনার খবর যায় আনন্দপুর থানায়, খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন আনন্দপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় পরিবারের মধ্যে নিত্যদিনই অশান্তি লেগে থাকার কারণে এই ঘটনা।