সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা : বকেয়া DA-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধর্নামঞ্চে ( DA Agitation ) এবার পড়ল রহস্যময় পোস্টার। তাতে লেখা, 'নাটক বন্ধ না করলে মঞ্চ ওড়ানো হবে' । এমনই হুমকি দেওয়া হয়েছে পোস্টারে। এই নিয়ে ময়দান থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন DA-আন্দোলনকারীরা।
রবিবারই সরকারি কর্মীদের আন্দোলনকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম ( Firhad Hakim ) । সেই একই শব্দবন্ধ পোস্টারে ব্যবহার হওয়ায় নেপথ্যে কারা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। যদিও রবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পরেও আন্দোলনে অনড় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই ঘটনার পর ডিএ আন্দোলনকারীদের একাংশ মিল খুঁজে পাচ্ছেন 'বিশেষ একজনের' বক্তব্যের। এতে লাভ হবে না বলেও জানান তাঁরা, বলেন চলবে আন্দোলন, বাড়বে ঝাঁঝ।
বকেয়া DA-র দাবিতে শহিদ মিনারে ধর্না-অবস্থান আজ ৪৬ দিনে পড়ল। অনশন আন্দোলনের ৩২ তম দিন। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও, রাজ্য সরকার সদর্থক ভূমিকা না নিলে আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
আরও পড়ুন :
নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির বাজার মূল্য ১১১ কোটি ! আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য আনল ED
বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের টাগ অফ অয়্যার অব্যাহত। সমাধান খুঁজতে রবিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। কিন্তু, সেই বৈঠকের পরও অধরাই থেকে যায় সমাধান সূত্র! রাজ্য সরকার সম্মানজনক শর্তে রাজি হলে তবেই প্রত্যাহার করা হবে অনশন, রাজভবনের বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ! পাল্টা আন্দোলনের নেপথ্যে বিরোধীদের ইন্ধন রয়েছে বলে সুর চড়ান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
রাজ্য বাজেটে ৩ শতাংশ ডিও বৃদ্ধির ঘোষণার পরও, ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA-এর ফারাক ৩২ শতাংশ। এই ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে কর্মবিরতি, ধর্মঘটের পথে হেঁটেছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। অন্যদিকে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে গত ৩২ দিন ধরে চলছে অনশনও! অসুস্থ হয়ে পড়ছেন আন্দোলনকারীদের অনেকে।
রবিবার সকাল সোয়া ১১টা নাগাদ সংগামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল রাজভবনে যান। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে প্রায় কুড়ি মিনিট বৈঠক হয় তাঁদের।কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি!
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। বকেয়া ডিএ ইস্যু নিয়ে সংঘাত কি তাতে প্রভাব ফেলবে? সেটাই এখন সবচেয়ে ব়ড় প্রশ্ন।