অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: রাজপুর-সোনারপুরে সন্দেহজনক তরল ঘিরে রহস্য। বাড়ি থেকে বের হচ্ছে সন্দেহজনক তরল। বাড়ির দেওয়ালে বাড়ছে কালো ছাপ।
ওই তরল তেল জাতীয় কিছু, জানালেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
তরল ঘিরে রহস্য: চিটচিটে কালো তরল, ঘনত্বের দিক থেকে অনেকটা গ্রিজের মতো। কখনও আবার তার থেকে চুঁইয়ে একটা অংশ পড়ছে দেওয়ালের ওপর থেকে নীচের দিকে। বাড়ির বাসিন্দাদের দাবি, বছর দেড়েক ধরে এমন ঘটনাই ঘটছে। যা ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে। উদ্বিগ্ন বাড়ির মালিক থেকে প্রতিবেশীদের একাংশ। ওই বাড়ির বাসিন্দা বলেন, "ক্রমশ জিনিসটা বাড়ছে। সবথেকে বড়া বিষয় হল এটা কতটা বিপজ্জনক তা বুঝতে পারছি না। সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। সবাই আসুন দেখুন, কিন্তু আমরা ফলাফল জানতে চাই। বাড়ির এই অংশে কোনও রান্নাঘর নেই।''
বাড়ির দেওয়াল বেয়ে চুঁইয়ে পড়া কালো ঘন তরল আসলে কী? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক দেবজ্যোতি ঘোষালকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেল এবিপি আনন্দ। কালো তরলের রহস্যের সন্ধানে হাতেকলমে চলল পরীক্ষা। প্রশ্ন হল, বাড়ির দেওয়াল এভাবে তেলতেলে হচ্ছে কী কারণে? বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান, অনেকদিন ধরে তেল জাতীয় চটচটে কোনও পদার্থ বাতাসের সংস্পর্শে এসে এমন কালো রং নিয়েছে। এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলেন, "তেল তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তেলের সঙ্গে কিছু অপদ্রব্যও মেশানো আছে। সেই অপদ্রব্যগুলো পলিমারাইজড সাবস্ট্যান্স হতে পারে যেটা দিক নির্দেশ করছে যে এই তেলটা মিনারেল অয়েলও হতে পারে, ন্যাচারাল অয়েলও হতে পারে। কিন্তু তেলটা বহু পুরনো।''
বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার মনে করছেন, ছত্রাক জাতীয় কিছু থেকেও এমন কালো দাগ পড়তে পারে বাড়ির দেওয়ালে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "কোনওভাবে এটা পেট্রোলিয়াম অয়েল হওয়া সম্ভব নয়। এরকম হতে পারে জলাজমিতে বাড়িতে হলে এই ধরনের ছত্রাকজাতীয় কিছু হতে পারে।'' কিন্তু কিছুতেই যেন কমছে না বাড়ির বাসিন্দাদের উদ্বেগ। মঙ্গলবার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওই বাড়িতে যাওয়ার কথা রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের। রবিবার, সেখানে গিয়ে কালো তরলের নমুনা সংগ্রহ করেন ONGC-র প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: Bangladeshi Arrest: নেই বৈধ পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট, এবার শিয়ালদা স্টেশন থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি মহিলা