সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: বাংলায় ন্যায় শাস্ত্র ও দর্শনের চর্চা সুপ্রাচীন। একদিকে ভাটপাড়া অন্যদিকে নবদ্বীপে বাংলার পন্ডিতদের হাতে লালিত হয়েছে টোল সংস্কৃতি। বয়সের কারণেই বাংলার পণ্ডিতদের লেখা এবং সংগৃহীত নানা প্রাচীন পুঁথি আজ গবেষকদের কাছে দুর্মূল্য।                                                                  


বাংলার সারস্বত চর্চাকে সহজে গবেষকদের কাছে পৌঁছে দিতে এবার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার। তাদের উদ্যোগে ভারতীয় দর্শন-এর বই ও পান্ডুলিপিগুলি সংরক্ষণের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন  অফ একাডেমিক এফেয়ার্স সুমন্ত রুদ্র জানিয়েছেন- ‘সতেরো থেকে উনিশ শতকের মধ্যে নবদ্বীপে রচিত নব্য-ন্যায়ের বইগুলি ইতিমধ্যেই ডিজিটাইজ করা হয়েছে।


৫ মার্চ এই 'দর্শন মনীষা ডিজিটাল লাইব্রেরির' উদ্বোধন করবেন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোজফির অধ্যাপক জনার্দন গানেরি। 


আরও পড়ুন, প্রথম বাংলা মুদ্রাক্ষর তৈরি থেকে সংস্কৃতির পীঠস্থান, স্থাপত্য-ইতিহাসে সমৃদ্ধ হুগলি


কলকাতার বালিগঞ্জে রিসার্চ সেন্টারের গ্রন্থাগারে কলকাতার টোল-কেন্দ্রিক পণ্ডিতদের রচনাগুলিকেও ডিজিটাইজ করা হয়েছে। অপর একটি অংশে বিংশ-শতাব্দীর ইংরেজী জানা দার্শনিকদের রচিত গ্রন্থগুলিকেও ডিজিটাইজ করা হয়েছে। যে কোনো আগ্রহী ব্যক্তি এবং গবেষকদের কাছে বাংলার এই গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ এনে দিল ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার।