কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে (R G Kar News) ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) তুলকালাম। দফায় দফায় ভাঙল ব্যারিকেড সঙ্গে ইটবৃষ্টি। পাল্টা পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ছোড়ে কাঁদানে গ্যাস, জল কামান। আর এই নবান্ন অভিযানকে সমাজবিরোধীদের অভিযান বললেন কুণাল ঘোষ।
এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, "নবান্ন অভিযান মানে কী, প্রতীকি কিছু হয়। শান্তিপূর্ণ হয়। প্রথম কাজ হচ্ছে ব্যারিকেড ভাঙা। আমাদের নবান্ন যেতে দিতে হবে। সভা নেই, মঞ্চ নেই। বক্তৃতা নেই। কী করে হতে পারে এসব। পুলিশকে ইট, পাথর মারা হল। একাধিক পুলিশ জখম। আইসি চন্ডিতলার মাথা ফেটে রক্তারক্তি। একাধিক পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। অরাজকতার চেষ্টা করল বিজেপির কিছু গুন্ডা। আর ওই DA মঞ্চের বকলমে কিছু সিপিএমের ক্যাডার। তারপর আবার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। জাস্টিস এখন ভুলে গেছে। এখন চেয়ার চাই। পুলিশ আক্রমণের মুখে পড়েও রক্তাক্ত হয়েও, পুলিশকর্মীরা সংযমের পরিচয় দিয়েছেন। আজ কিন্তু পুলিশ গুলি চালায়নি। আগামীকাল ২৮ অগাস্ট কোনও বাংলা বনধ হবে না। বিজেপি চক্রান্তমূলক ভাবে এটা করছে। আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্ত করছে সিবিআই। রাজনৈতিক অরাজকতার প্লট তৈরি করছে।''
আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ব্যানারে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। বেনজির নিরাপত্তা গঙ্গার এপার-ওপার, দুই শহরেই ছিল। আগে থেকেই সতর্ক ছিল পুলিশ-প্রশাসন। দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করা হয়েছিল রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন ও তার আশপাশের এলাকা। অভিযানের আগেই লাঠি হাতে রাস্তায় নামে স্পেশাল ফোর্স। জায়গায় জায়গায় গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে পুলিশ। লাঠিধারী পুলিশের সঙ্গে মোতায়েন ছিল র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স। প্রস্তুত রাখা হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। সকালে টহল দেন হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী।নবান্নমুখী সাঁতরাগাছির রাস্তাতেও লাঠি, ঢাল নিয়ে মোতায়েন ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। প্রস্তুত ছিল রোবো কপ, বজ্রযান, জল কামান। ড্রোন উড়িয়ে চলে নজরদারি। নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে সকাল সকাল পৌঁছে যান রাজ্য পুলিশের DG রাজীব কুমার। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ওপারে কলকাতার এজেসি বোস রোডের ওপর রাস্তায় কন্টেনার ফেলে রাখে পুলিশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।