কলকাতা : আরজি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়। যে পেশায় সিভিক পুলিশ হলেও প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল অন্যরকমই। জানা গিয়েছে, পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার হলেও সেই কাজ করত না সঞ্জয়। পুলিশের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রভাব খাটিয়ে পুলিশের টহলদারি মোটরবাইক নিজের নামে অ্যালট করিয়ে দাপিয়ে বেড়াত। থানায় জমা না দিয়ে পুলিশের বাইক রাখত নিজের কাছে। সেই সূত্রেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে, সঞ্জয়ের গাড়িটি কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নামে নথিভুক্ত। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও তেমনটাই দাবি করেন। বলেন, 'ধর্ষণ-কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের বাইকটাই কলকাতা পুলিশের কমিশনারের নামে। তাহলে আর কী বলবেন'


এই তথ্যটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাভাবে খবরটি পরিবেশিত হতে শুরু করে। আরজি হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের হত্যার ঘটনায় নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কলকাতা পুলিশকে। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় আর জি কর সংক্রান্ত কোনও গুজব ছড়ানো নিয়ে নজরদারি শুরু করে পুলিশ।  পুলিশের তরফ থেকে বারবার সতর্ক করা হয়, আর জি কর সংক্রান্ত কোনওরকম মিথ্যা, ভুল বা কাল্পনিক তথ্য না ছড়াতে। এরই মধ্যে এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম রটনা আটকানোর চেষ্টা করে এসেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও একটি পোস্ট করে কলকাতা পুলিশ জানাল, বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিষয় মিয়ে চর্চা চলছিল। এমন রটনা হচ্ছিল যে, আরজি করকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বাইকটি কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নামে নথিভুক্ত। কলকাতা পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে এই ঘটনার আসল সত্যিটা সামনে আসে। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, 'আরজি কর হাসপাতাল হত্যা ও যৌন নির্যাতন মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় যে মোটরবাইক ব্যবহার করত, সেটি বাজেয়াপ্ত করে কলকাতা পুলিশ। পরে সেটি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাইকটি নথিভুক্ত ছিল কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নামে, যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন কিছু ব্যক্তি। এ ব্যাপারে আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ দ্বারা ব্যবহৃত সমস্ত সরকারি যান কমিশনারের নামেই সরকারিভাবে নথিভুক্ত করা হয়। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।'  


তবে শুধু পুলিশে বাইকে চড়ে ঘুরে বেড়ানোই নয়। সিভিক ভলেন্টিয়ার হয়েও,আরজি করকাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় থাকত সশস্ত্র পুলিশের ব্য়ারাকে। চড়ত পুলিশের বাইক, থাকত পুলিশের ব্য়ারাকে, সিভিক হয়েও কীকরে এই দাপট ধৃত সঞ্জয়ের? এই নিয়ে এখনও উঠছে প্রশ্ন।  


আরও পড়ুন:


'কী করেছিল মেয়েটা, আমরা কি প্রতিবাদ করতে পারব না?' বলতেই পাকড়ে নিয়ে গেলেন ডিসি ইন্দিরা