কলকাতা: নবান্ন অভিযানে পুলিশকর্মীর আহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার এক মহিলা। রিঙ্কু সিংহ নামের এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার বাবুঘাটে আক্রান্ত হন কলকাতা পুলিশের ইস্ট ডিভিশনের সাইবার বিভাগের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। ইঁটের ঘায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাঁর বাঁ চোখ। ঘটনার দিন বাবুঘাটেই রিঙ্কু ছিলেন, পাথর হাতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। রিঙ্কুর ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। (Nabanna Abhijan Arrest)


মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানে ইঁটের ঘায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সার্জেন্ট দেবাশিসের বাঁ চোখ। পুলিশ জানিয়েছে, মহেশতলার বাসিন্দা রিঙ্কুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট বাবুঘাট চত্বরে চোখে আঘাত পান। সেখানে রিঙ্কু এবং আরও কয়েক জনকে পাথর ছুড়তে দেখা যায়। সেই ছবিও প্রকাশ করা হয়। পরে রিঙ্কুকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে।  রিঙ্কুর রঙ্গে ছবিতে বাকি যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদেরও খোঁজ চলছে। (Kolkata Police)


নবান্ন অভিযানে আহত পুলিশ অফিসার দেবাশিসকে দেখতে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে যান মুখ্যসচিব। ধীরে ধীরে দেবাশিসের বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছে। গত দু'দিন ধরে একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছেন। হাত নড়াচড়া বুঝতে পারছেন, চোখে আলো ফেললে, ক'টি আঙুল রয়েছে বুঝতে পারছেন।


আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar: মমতার উপর গোয়েন্দা নজরদারি? জামাতের সঙ্গে তুলনা, যা বললেন সুকান্ত...


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছেন, আরও দুই সপ্তাহ ওঁকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। কারণ আঘাতের ফলে রক্ত জমাট বেঁধেছে। ওঁর চোখেও জমাট বেঁধএ রয়েছে রক্ত। আগামী দুই সপ্তাহে আপনা আপনি মিলিয়ে গেলে ভাল। দৃষ্টিশক্তি আগের মতো হওয়ার সহায়ক হবে। নইলে আরও একটি অস্ত্রোপচার করা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা হবে। উনি হয়ত নিজের কাজ করতে পারবেন, দেখতে পাবেন। আমরা আশাবাদী।


নবান্ন অভিযানে অশান্তির ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের আরও এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রবীর নামের ওই ছাত্রনেতাকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। ধৃতের বিরুদ্ধে অবৈধ জমায়েতের জন্য অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর উপর হামলা, সরকারি সম্পত্তিতে অগ্নি সংযোগ ও তা নষ্ট করা, এমন একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নবান্ন অভিযানের অন্যতম আয়োজক ছাত্রনেতা সায়ন লাহিড়িকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।


পুলিশের প্রকাশ করা ভিডিওতে শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে ঢুকতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়িকে। সেখানে তিনি কোনও রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বলে দাবি করে পুলিশ। লালবাজার সূত্রে দাবি, নবান্ন অভিযানকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।