কলকাতা: রাজ্যে জোড়া কাউন্সিলরের মৃত্যু নিয়ে এবার নবান্নের বৈঠকে হল আলোচনা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে বৈঠক হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা চলে বলে সূত্রের খবর। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা, ডিআইজি-সিআইডির কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় গণ্ডগোল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীরা। অশান্তির ঘটনায় রং না দেখে পদক্ষেপ নিতে হবে’। এরপর প্রশাসনিক বৈঠকের পরে ফুরফুরা শরিফের পিরজাদার সঙ্গে বৈঠকও হয়। সেখানে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শেষ দেখে ছাড়ব, কেউ ছাড়া পাবে না, সবাই শাস্তি পাবে। এমনই আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি কাসেম সিদ্দিকির।
এদিকে, ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি মৃতের পরিবারের। নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রীর অভিযোগ, পুরভোটে জয়ের পর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য পুলিশকে দিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। খুনের ঘটনায় মৃতের দাদা ও ভাইপোকে আটক করেছে পুলিশ। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দু এবার তৃণমূলের টিকিটে ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাকার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু পরাজিত হন। ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছে আটক তৃণমূল প্রার্থীর পরিবার। খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ নাকি, পারিবারিক বিবাদ, খতিয়ে দেখছে ঝালদা থানার পুলিশ।
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে এই শ্যুটআউট ঘটে। স্থানীয় পার্কের কাজ দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সেখানকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী অনুপম দত্ত। সেই সময় দু'টি মোটর সাইকেলে চেপে এসে, তিন-চার জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন অনুপম। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার নিজের ৮ নম্বর ওয়ার্ডেরই একটি পার্কের কাজের দেখভাল করতে গিয়েছিলেন অনুপম। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছয় খড়দহ থানার পুলিশ। কিন্তু সেখানে তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।