নদিয়া: কল্যাণীর জেএনএম (Kalyani JNM Hospital) হাসপাতালেও করোনার (Coronavirus) থাবা। ডাক্তারি পড়ুয়া, চিকিত্সক, নার্স মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত আরও ১৭ জন। এদের মধ্যে ১৩ জন ডাক্তারি পড়ুয়া, চারজন চিকিত্সক রয়েছেন। এই নিয়ে জেএনএম হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৭। গতকাল ৩০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরফলে চিকিৎসক মহলে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, জেলার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ। উত্তরবঙ্গ থেকে মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার JNM হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক-নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত। SBI’র একাধিক শাখাতে ছড়িয়েছে সংক্রমণ।
কলকাতার পাশাপাশি, জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থাবা বসিয়েছে করোনা। গতকালই জানা গিয়েছিল যে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালের ২৮ জন ডাক্তারি পড়ুয়া,৭ জন নার্স ও ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ৬ চিকিৎসক-সহ ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত।হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর,উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শতরূপা বসু-সহ এখনও পর্যন্ত ১১২ জন স্বাস্থ্য কর্মী করোনা আক্রান্ত।করোনা আক্রান্ত টিএল জয়সওয়াল হাসপাতালের সুপার কেয়া চট্টোপাধ্যায়।
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অনির্বাণ ঘোষাল ও ৫ জন নার্স করোনা আক্রান্ত।পরিস্থিতি সামাল দিতে, ৩২ জন অস্থায়ী নার্স নিয়োগ করা হচ্ছে।এছাড়াও, নতুন করে অস্থায়ী সাফাই কর্মী নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল নদিয়ার JNM হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের ৬ চিকিৎসক,৫ জন নার্স ও ১৯ জন মেডিক্যাল পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ১ চিকিৎসক ও ৩ জন স্বাস্থ্য কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
বেসরকারি হাসপাতালেও দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। আমরি হাসপাতালে ২০,আর এন টেগোর হাসপাতালে ১৫ এবং সিএমআরআই-তে ১৫ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
SBI’র পার্ক স্ট্রিটের জীবনদীপ ভবনের IFB ব্রাঞ্চের কর্মী সংখ্যা ৫০ জন।তাঁদের মধ্যে ৩২ জনই করোনা পজিটিভ।SBI’র ম্যাগনাম হাউসের ৫০ জন কর্মীর মধ্যে ৩৫ জন করোনা আক্রান্ত।বন্ধ করা হয়েছে অফিস। জওহরলাল নেহরু রেডে SBI’র শ্রীবৃদ্ধি ভবন শাখার ২৫ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত।বুধবার জীবাণুমুক্ত করা হয় অফিস।