প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: চাপড়ায় (Chapra) পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ২জন। গাড়ির সঙ্গে সুইফট ডিজায়ারের ধাক্কায় মৃত্যু (Death) হল ঠাকুমা ও নাতি। মৃতের নাম ঝর্ণা প্রামাণিক ও অর্ণব প্রামাণিক। ঠাকুমার বয়স ছিল ৬০ বছর। ও নাতির বয়স ১ বছর। এছাড়াও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন গাড়ির চালক সহ সেই পরিবারের ৩ সদস্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে গোটা পরিবার নাগেরবাজার থেকে তেহট্টের হাসপুকুরিয়ায় বাড়ি ফিরছিল। ভোররাতে চাপড়ার তারাতলায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে গাড়িটি ধাক্কা মারে। এরপরই সেখানেই মৃত্যু হয় ২ জনের। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল হুগলির হরিপালে জাতীয় সড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর নাম ছিল উত্তম দাস(৫০)। আহত হয়েছেন ২০ জনের বেশি। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে আসেন হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি আফজাল আবরার সহ আধিকারিকরা। কিন্তু, কীভাবে দু'টি দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , গতকাল সকালে SBSTC-র একটি বাস বর্ধমান থেকে করুণাময়ী আসছিল। হরিপাল থানার অন্তর্গত কানগোই এলাকায় জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ির পেছনে ধাক্কা মারে বাসটি। বাসে কমবেশি ৫০ জন যাত্রী ছিলেন বলে দাবি আহত এক বাস যাত্রীর। দুর্ঘটনায় ২০ জনের বেশি যাত্রীর চোট- আঘাত লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হরিপাল থানার পুলিশ গুরুতর আহত সাত জন যাত্রীকে উদ্ধার করে সিঙ্গুর গ্ৰামীণ হাসপাতাল পাঠায়। বাসের আহত অন্য যাত্রীদের পরিবারের লোকেরা এসে চিকিৎসার জন্য তাঁদের অন্যত্র নিয়ে যান।
এই ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরে ডানকুনি-বর্ধমানমুখী রাস্তায় একটি বাইকের সঙ্গে একটি গাড়ির ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনায় বাইকে থাকা দুই আরোহী গুরুতর জখম হন । তাঁদের উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হলে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালের চিকিৎসক। মৃতের নাম- উত্তম দাস।
সরকারি বাসে থাকা এক যাত্রী সুকান্ত রায়চৌধুরী দুর্ঘটনার বিষয়ে জানান, বাসে কম-বেশি ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। রাস্তায় হঠাৎই জোরে ব্রেক মেরে একটি ট্যাঙ্কারের পেছনে ধাক্কা মারে গাড়িটি। ঘটনায় অধিকাংশেরই চোট আঘাত লাগে। কারও মুখ ফেটে যায়, কারও কপালে আঘাত লাগে।
আরও পড়ুন: চাঁদনি চকের বহুতলে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ২টো ইঞ্জিন