সুজিত মণ্ডল, রানাঘাট: পুরভোটের দিনক্ষণ নিয়ে জল্পনার মধ্যে পুরসভার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস। এই ছবি দেখা গেল নদিয়ার রানাঘাট পুরসভায়। গতকাল তিনটি নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। তার মধ্যে রয়েছে গৃহহীনদের জন্য আবাস নীড়াশ্রয়, পার্ক ও বিপণন কেন্দ্র এবং চূর্ণী নদীর ধারে পর্যটন কেন্দ্র ‘বৈকালিক’। এর পাশাপাশি বিপণন কেন্দ্র স্বয়ংসিদ্ধা, কর্মতীর্থ প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন তাঁরা।


২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় ভোট করানোর পক্ষে আদালতে প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ঠিক তার আগে প্রকল্পের উদ্বোধনকে চমকের রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ শাসক শিবির।


রানাঘাটে শনিবার প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে রানাঘাট পুরসভার চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং একটি প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়। পুর নির্বাচনের আগে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন নিয়ে কটাক্ষ করেন রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক তথা নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি বিধায়কের দাবি, ‘পুরসভা নির্বাচনের আগে এটা চমক ছাড়া আর কিছুই নয়। তৃণমূল আসলে ভয় পাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। রানাঘাটের মানুষ বিষয়গুলি বোঝেন। এগুলির কাজ অনেকদিন ধরেই চলছিল, নতুন কিছু নয়। তাছাড়া ১১ মাসে এটা কোনওভাবেই সম্ভব হয় না। গত ১১ মাসে এদের উন্নয়ন হচ্ছে ফেসবুকের উন্নয়ন। আবার সেগুলিকে ফেসবুকে দেওয়ার জন্যই ঘটা করে উদ্বোধন হল।’


রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পাল্টা বলেন, ‘একটা কাজ করেছে, তার তো উদ্বোধন হয়। আমরা তো দেখছি কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ না করেই উদ্বোধন হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং বিরোধীরা কী বলল কিছু যায় আসে না। ভোটের আগে উদ্বোধন কোনও কৌশল নয়।’


রানাঘাট পুরসভায় ২০টি ওয়ার্ড। গত পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ১৬টি আসন পায়। কংগ্রেস দু’টি আসন এবং সিপিআইএম পায় দু’টি আসন। পরে সিপিআইএম ছেড়ে একজন এবং কংগ্রেসের দু’জন কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের ১৯টি আসন এবং সিপিআইএমের একটি আসন। ২০২০ সালে রানাঘাট পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এখানে কবে ভোট হবে, সেটা এখনও জানানো হয়নি।