সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: দু'টি বাসের রেষারেষিতে ফের বিপত্তি। এবার ঘটনাস্থল নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার গোবিন্দপুরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। জানা গিয়েছে, ঘটনায় ১০ জন বাসযাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে প্রত্যেকে চিকিৎসাধীন। ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত গতিতে ছুটছিল বাসটি। সেই সময়ে উল্টোদিক থেকে আসা একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তাতেই গুরুতর জখম হন যাত্রীরা।


এদিন কৃষ্ণনগর থেকে কালনাঘাট গামী একটি বেসরকারি বাস শান্তিপুরের দিকে আসার সময়ে অপর একটি বাসের সঙ্গে রেষারেষি শুরু করে দেয়। সেই সময়ে কৃষ্ণনগর অভিমুখে যাওয়া একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। বাসে থাকা যাত্রীরা প্রায় প্রত্যেকেই কম-বেশি আহত হন। 


এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১০ জনকে। ঘটনার পরে বাসের চালক ও কন্টাক্টর পলাতক। দুর্ঘটনাস্থল থেকে বাস ও লরিটিকে উদ্ধার করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় জাতীয় সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়।


সম্প্রতি বাগমারিতে একই জায়গায়, একই কারণে পরপর দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাম লাইনে চাকা পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বাইক (bike)। আহত হন দুই বাইক আরোহী। পর পর দুর্ঘটনা ঘটতে থাকায় রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।


 প্রতিবাদে নামেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  পরপর দু’দিন দুর্ঘটনার সাক্ষী হয় বাগমারি। প্রথমে একটি শুক্রবার বাগমারিতে ট্রাম লাইনে চাকা পড়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান অ্যাপ নির্ভর বাইক চালক। একটি ক্রেন এসে পিষে দিলে মৃত্যু হয় তাঁর। 


তারপর দিনই অর্থাৎ শনিবার সেই বাগমারিতেই ট্রাম লাইনে চাকা পড়ে উল্টে যায় আর একটি বাইক। আহত হন দুই আরোহী। গতকালের পর আজও বাইক দুর্ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ কাঁকুড়গাছির দিক থেকে মানিকতলার দিকে যাচ্ছিল বাইকটি। সেই সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা।



পরের পর দুর্ঘটনা ঘটায়, প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় আধঘণ্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।  স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই লাইন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম চলাচল করে না। তা সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে লাইন পিচ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়নি। যার জেরে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রশাসনের হুঁশ ফিরবে কবে, এই প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের।