সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: এবার নদিয়ার চাকদায় উদ্ধার হল দম্পতির মৃতদেহ (Couple Death)। গুরুতর জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ব্য়ক্তির মাকেও।
নদিয়ায় মৃতদেহ উদ্ধার
নদিয়ার রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় রেলকর্মীর (Rail Worker) দেহ। তার পাশেই গুরুতর জখম অবস্থায় পড়েছিলেন তাঁর মা। এরপরই তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় রেলকর্মীর স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ। দেহে মিলেছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন।
চাকদার বাসিন্দা দেবাশিস রায় রেলের কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপের কর্মী। পরিবার সূত্রে খবর, গত ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। তারপর থেকেই স্ত্রী শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাইতেন না এবং সেই নিয়ে দাম্পত্য বিবাদ লেগেই থাকত বলে দাবি পরিবারের। গতকাল ফোনে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ভাড়াবাড়িতে হাজির হন গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা। তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন বধূর রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। এর আগে ওদিন সকালেই চাকদা স্টেশনের কাছে রেললাইনে মেলে স্বামীর মৃতদেহ। পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুন করে মাকে নিয়ে আত্মহত্যা করতে যান স্বামী, এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করছে পুলিশ।
পরিবারের মর্মান্তিক পরিণতি
শনিবার সকালে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয়েছে স্বামীর দেহ। এবং সেদিনই রাতে উদ্ধার হয় স্ত্রীর দেহ। স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চাকদা থানার রথতলা এলাকায়।
রেলকর্মী দেবাশিষ রায়ের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার পাল্লাগ্রামে। দেখাশুনো করে ফেব্রুয়ারি মাসে চাকদার নারকেলডাঙার বর্ণালি ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। অভিযোগ স্ত্রীকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন দেবাশিষ। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে যেতে চাননি স্ত্রী। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই গণ্ডগোল চলছিল।
আরও পড়ুন: Maheshtala : মহেশতলায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু মা ও দুই ছেলের
গত কয়েক মাস চাকদার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে তাঁরা থাকতেন। সঙ্গে থাকতেন রেলকর্মীর মাও। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে চাকদা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় মৃত অবস্থায় দেবাশিষ রায় ও জখম অবস্থায় তাঁর মা নীহারবালা রায়কে দেখতে পাওয়া যায়। পরে রেল পুলিশের তরফ থেকে রেলকর্মীর মাকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।