নদিয়া: রাজ্যে ফের করোনা (Corona) আক্রান্তর মৃত্যু। কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে মৃত্যু ৭ মাসের শিশুর। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে করোনার উল্লেখ। ৩১ জুলাই মৃত্যু হয় শিশুটির। এর আগে বর্ধমান মেডিক্যালে ৩ জন করোনা আক্রান্তর মৃত্যু হয়। যাদের মৃত্যু হয়েছে, প্রত্যেকেরই কোমর্বিডিটি ছিল, দাবি স্বাস্থ্য ভবনের। 


ম্য়ালেরিয়া (Malaria), ডেঙ্গির (Dengue) বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই ফের করোনার আতঙ্ক! এদিনই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Burdwan Medical College and Hospital) ৩ করোনা আক্রান্তের মৃত্য়ুর ঘটনায় ছড়ায় চাঞ্চল্য। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আতঙ্কের কোনও নেই। হঠাৎ করে এমন ঘটনা কেন ঘটল, পরীক্ষার কিটে কোনও সমস্যা ছিল কিনা - খতিয়ে দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব।


ডেঙ্গির দাপট, ডেঙ্গির দোসর ম্যালেরিয়া, ফের করোনা-আতঙ্ক। বাংলায় ডেঙ্গির উদ্বেগের মধ্যেই বিপদ বাড়িয়েছে ম্যালেরিয়া। ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি। সেই উদ্বেগকেই দ্বিগুণ করেছে করোনা। এ যেন এক ডেঙ্গিতে রক্ষে নেই ম্যালেরিয়া-করোনা দোসর! নদিয়ায় ১ শিশু এবং তার পাশাপাশি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩ করোনা আক্রান্তের মৃত্য়ু হয়েছে একই দিনে! বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় ভাতারের বাসিন্দা বছর ৬০-এর এক বৃদ্ধ মারা যান। তাঁর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ ছিল।


অন্যদিকে, সোমবার সকালে মারা যান দেওয়ানদিঘি থানা এলাকার বাসিন্দা ৬১ বছরের এক বৃদ্ধ। তিনি কয়েকদিন আগে  বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি হন। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁরও কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে।


এ দিকে, এদিন মারা যান, তয়াব শেখ (২৮) নামে এক যুবক। বীরভূমের কীর্ণাহারের বাসিন্দা ওই যুবকও করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সবারই কো-মর্বিডিটি ছিল। হঠাৎ করে এমন ঘটনা কেন ঘটল, পরীক্ষার কিটে কোনও সমস্যা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।


স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এনিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। অন্যদিকে, জ্বর নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বেশ কয়েকজন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১০৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গিতে। তার মধ্যে জুলাই মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ জন। জেলায় আক্রান্ত ১০৯ জনের মধ্যে ভাতারে ২৩ জন, জামালপুরে ১২, কাটোয়া-১ নম্বর ব্লকে আক্রান্ত হয়েছেন ৯জন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্ধমান মেডিক্যালে খোলা হয়েছে ২০ বেডের ডেঙ্গি ওয়ার্ড। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৫ জন ডেঙ্গি রোগী। এই পরিস্থিতিতেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে করোনা।