তেহট্ট: ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশি সেরে সিবিআই আধিকারিকরা বেরোনোর পরই তাপস সাহার বাড়িতে ভুরিভোজ। বিধায়কের বাড়িতে গতকাল সন্ধ্যায় বসে খাওয়াদাওয়ার আসর। তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে কব্জি ডুবিয়ে খেলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। ভুরিভোজের তদারকিতে ছিলেন স্বয়ং তেহট্টের বিধায়ক, ভিডিও ভাইরাল হয় সঙ্গে সঙ্গেই। 


বিজেপির কটাক্ষ:
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'গোটা পার্টিটাই চোরে ভরে গিয়েছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সমর্থন করছে। সেখানে আর লজ্জা কীসের? আসলে ভেবেছিল গ্রেফতার হবে। যেহেতু কিছু হয়নি। মানুষকে দেখাচ্ছে কিছু হয়নি ঘাবড়ানোর কিছু হয়নি। জেলে গিয়ে মাংসভাত খাওয়ার থাকবে না। তাই শেষ খাওয়া বাড়িতে ভুরিভোজ করে খেয়ে নিচ্ছে।'

কী বলছেন বিধায়ক:
বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, 'ইদে প্রতিবছর বেরোই। কাল বেরোতে পারিনি। কথাও হয়নি। কর্মীরাও বিভ্রান্ত ছিল। তাই সিবিআই চলে যেতে ওরা অনেকে মিলে এসেছে। কয়েকজন খাসি নিয়ে এসেছিল। রান্না করেছে, আমাকেও খাইয়েছে। সবাইকে খাইয়েছে। জেলে যেতে হলে যাব। এখানে খাচ্ছি, জেলে গিয়ে খাব।'


তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া:
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখানে দল কী করবে। এজেন্সির কাজ তারা করেছে। কাল ইদ ছিল, অক্ষয় তৃতীয়া ছিল। তিনি যদি কোনওভাবে কর্মী-সমর্থকদের খাইয়ে থাকেন, বাড়িতে যদি আয়োজন করে থাকে, কেউ খেয়ে থাকে। তাহলেও সেখানে সমালোচনা কীভাবে হতে পারে। একজনের বাড়িতে সিবিআই গিয়েছিল। সেখানে দলীয় সমর্থকরা খাওয়া-দাওয়া যদি করেও থাকে। সেখানে রাজনীতির কিছু দেখতে পাচ্ছি না।'


তাপসের গলায় অভিমানের সুর:
শনিবারের পর রবিবার, ফের দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিমানের সুর তাপস সাহার (Tapas Saha) গলায়। দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকে সহযোগিতার না পাওয়ার অভিযোগ। প্রায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টার সিবিআই তল্লাশির পর অভিমানও ঝরে পড়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এই তৃণমূল বিধায়কের গলায়। এদিন তিনি বলেন, 'দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সেরকম কোনও সহযোগিতা পাইনি। আমার বিপদের দিনে অন্যভাবে সহযোগিতা করতে না পারলেও, কথার মাধ্যমে সহযোগিতা করুক। কর্মী হয়েও আমি দলের জন্য যে দিই, অন্য কেউ দেন বলে মনে হয় না। কোন এমএলএ এইভাবে সময় দেয় না।’ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ফের অভিমানের সুর তেহট্টর তৃণমূল বিধায়কের গলায়।


আরও পড়ুন:  'দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকে কোনও সহযোগিতা পাইনি,' অভিমানী তাপস