সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: নদিয়ার হাঁসখালিতে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে বিজেপি (BJP) নেতার? জানতে ঘটনাস্থল ও বিজেপি নেতার বাড়িতে গেলেন এসসিএসটি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্য়ান। তিনি বললেন, সত্যকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা হলে সিবিআই তদন্ত হবে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার। মৃত্যু হলেই দায় চাপানোর চেষ্টা, অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূল (TMC)। 


সত্যকে চাপা দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা হলে CBI তদন্ত হবে। হাঁসখালিতে মৃত বিজেপি নেতার বাড়িতে গিয়ে এই ভাষাতেই সুর চড়ালেন জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান। কালিয়াগঞ্জ, ময়নার পর এবার নদিয়ার হাঁসখালি। ফের রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতে জড়াল জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশন। বুধবার, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ভাজনঘাট সেতু লাগোয়া আমবাগান থেকে উদ্ধার হয়, বিজেপি নেতা নকুল হালদারের ঝুলন্ত দেহ। গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৮ নম্বর বুথের বিজেপির বুথ সহ সভাপতি ছিলেন তিনি। 


মৃতের ডান পা ভাঙা ছিল। গলাতেও ছিল গভীর ক্ষত। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বুধবারই পরিবারের তরফে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হলেও, ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে, শনিবার ঘটনাস্থলে যান জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান। বিজেপির মৃত বুথ সহ সভাপতির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।


এরপরই, জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্য়ানের অভিযোগ করেন, পুলিশের বক্তব্যের সঙ্গে পরিবারের বক্তব্যের বিস্তর ফারাক রয়েছে। সত্যকে চাপা দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের কথায়, পুলিশের বক্তব্যের সঙ্গে পরিবারের বক্তব্য বিস্তর ফারাক। সত্যকে চাপা দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা হলে সিবিআই তদন্ত হবে। কোথাও কমিশন গেলে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত থাকে। কিন্তু এরা কেউ আসেনি।   


এ দিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃত বিজেপি নেতার পরিবার। মৃতের ছেলে রাজেশ হালদারের কথায়, কমিশনকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছি। আমার বাবাকে তৃণমূলের লোকজন খুন করেছে। পুলিশের উপর কোনও আস্থা নেই। সিবিআই তদন্ত দাবি করেছি। খুন নাকি আত্মহত্যা? সে উত্তর অধরাই। তারমধ্য়েই চড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।