প্রদ্যোত্‍ সরকার, নদিয়া: নদিয়ার (Nadia News) মায়াপুরের (Mayapur) ইসকনের (ISKCON, Mayapur)  মন্দিরে গীতা পাঠের (Reciting Gita) অভিনব আয়োজন। ৫ হাজার জন একসঙ্গে বসে গীতাপাঠ করলেন। সামিল হন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারও। গীতাকে জাতীয় গ্রন্থ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান উদ্যোক্তারা।


মায়াপুরে ইসকন মন্দিরে ৫ হাজার জন একসঙ্গে বসে গীতাপাঠ করলেন


৫ হাজার মানুষের কণ্ঠে গীতাপাঠ। বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে গীতাপাঠে সামিল হলেন বিদেশি ভক্তরাও। নদিয়ায় মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে সোমবার আয়োজন করা হয় গীতাপাঠের। মায়াপুর ইসকন মন্দিরের গোশালার পিছনে যে ফাঁকা ময়দান রয়েছে, সেখানেই ভক্তদের  জন্য নির্ধারিত আসন পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তৈরি করা হয়েছিল মোট চারটি মঞ্চ। সেখানে একসঙ্গে গীতাপাঠ করেন ৫ হাজার জন।


শুধুমাত্র মায়াপুরের ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষই নন, আরও একাধিক মঠ ও মন্দিরের কর্তৃপক্ষ সামিল হয় এই উদ্যোগে।  গীতাকে জাতীয় গ্রন্থের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তুলেছেন ইসকন কর্তৃপক্ষ।


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ’অনুব্রত-কন্যার মামলায় কোর্টকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন মামলাকারী’, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের


মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, "আজ ঐতিহাসিক দিন। এখানে সমবেতভাবে গীতাপাঠে অংশগ্রহণ করেছেন ৫ হাজার জন। গীতাকে জাতীয় গ্রন্থ হিসেবে ঘোষণার জন্য সরকারের কাছে একান্ত অনুরোধ রাখছি।"


একাধিক মঠ, মন্দির কর্তৃপক্ষও গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে শামিল হন


ভক্তদের পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বরাও এই গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারও গীতা পাঠ করেন।  প্রত্যেক ভক্তের মতো, হাতে গীতা নিয়ে সকলের সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে গীতা পাঠ করতে দেখা যায় তাঁকেও।ইসকনের তরফে গীতাপাঠের আয়োজনকে অভিনব উদ্যোগ বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি।


বহু সাধারণ মানুষও গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ইসকনের এক অনুগামী, শিবানী শীল বলেন, "অনুষ্ঠানে আমরা ৫ হাজার জন বসে গীতাপাঠ করলাম।" গীতামাঠের পাশাপাশি বিশ্বশান্তির জন্য বিশেষ যজ্ঞেরও আয়োজন করা হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই, ওই অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভক্তদের উচ্ছ্বাস এবং আনন্দ ছিল চোখে পড়ার মতো।


তবে গীতাকে জাতীয় গ্রন্থ ঘোষণার দাবি এই প্রথম নয়। এর আগে, একাধিক বার এই দাবি সামনে এসেছে। বিশেষ করে দক্ষিণপন্থী, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের তরফে বার বার এই দাবি তোলা হয়েছে। গীতাকে শুধু জাতীয় গ্রন্থ ঘোষণাই নয়, প্রত্যেক স্কুলের পাঠ্যক্রমে গীতার অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করার দাবি জানায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।