পার্থপ্রতিম ঘোষ, নদিয়া: হাওড়া, তারপর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। এবার নদিয়াও। বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) মন্তব্যের জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় অশান্তির ছবি দেখা দিয়েছে। রবিবার নদিয়ার (Nadia) বেথুয়াডহরি স্টেশনে ট্রেনে ভাঙচুর চালানো হয়। একটি মিছিলের পর হঠাৎ করেই ভাঙচুর শুরু হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। বেথুয়াডহরি হাসপাতালের সামনে এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কেও ভাঙচুর করা হয়। বাদ যায়নি দোকান ও বাড়িও। এই ঘটনার পরেই পরিস্থিতি সামলাতে নাকাশিপাড়া ব্লকে রবিবার রাত থেকে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। ট্রেনে ভাঙচুর ও গন্ডগোলের অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। বেথুয়াডহরি স্টেশনে বিপুল সংখ্যায় মোতায়েন করা হয়েছে জিআরপি (GRP)।


পাল্টা প্রতিবাদ:
তাণ্ডবের ঘটনায় প্রবল ক্ষোভ ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। রবিবার ঘটনার পর প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীর সমিতি। কীভাবে এতবড় মিছিলের পর লাগামছাড়া ভাঙচুর চালানো হল, স্টেশনে ঢুকে তাণ্ডব চালানো হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। প্রতিবাদ জানাতে ৭২ ঘণ্টা ব্য়বসা বন্ধের ডাক দিয়েছে বেথুয়াডহরি ব্যবসায়ী সমিতি।


বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের তিন জেলায় বিক্ষোভের নামে লাগাতার তাণ্ডব হয়ে চলেছে। হাওড়ার একাধিক জায়গায় অবরোধ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ঘটেছে। একই ছবি দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর ও বেলডাঙাতেও। এবার একই ছবি নদিয়ার বেথুয়াডহরিতেও। এর আগে এনআরসি আন্দোলনের সময়েও ট্রেনের উপর হামলার ছবি দেখা গিয়েছে বাংলা। বেলডাঙাতে ট্রেন ও স্টেশন তছনছ করা হয়েছে। রবিবার বেথুয়াডহরিতে ট্রেনে পাথর ছোড়া হয়। কারও জখম হওয়ার খবর না মিললেও প্রবল আতঙ্ক ছড়ায় স্টেশন ও ট্রেনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে। রেল স্টেশনের মতো জায়গায়, হাসপাতালের সামনে কীভাবে জমায়েত করে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ বাসিন্দারা।      


আরও পড়ুন: স্টেশনে ঢুকে তাণ্ডব, ভাঙচুর লালগোলা মেমুতে, পয়গম্বর বিতর্কের আঁচ নদিয়াতেও, গ্রেফতার একাধিক