সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: কল্যাণী (Kalyani) থেকে উদ্ধার হল ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৩৮টি বিদেশী পাখি। এসটিএফ, কল্যাণী থানা এবং বন দফতরের মিলিত অভিযানে নদিয়ার (Nadia) কল্যাণী থানার কল্যাণী বি ব্লক থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণে বিদেশী পাখি (Bird)। উদ্ধার হওয়া পাখিগুলিকে পাঠানো হয়েছে বন দফতরে। ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে এক যুবককে।


কল্যাণী থেকে পাখি উদ্ধার-


পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর আসে যে, নদিয়ার কল্যাণী থানার কল্যাণী বি ব্লকে সৌমেন বিশ্বাস নামে এক যুবক বাড়ি ভাড়া নিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশ ও অন্যান্য জায়গা থেকে বিদেশী পাখি নিয়ে এসে ব্যবসা করত। খবর পেয়েই এসটিএফ এবং বন দফতরের কর্মীদের সঙ্গে মিলিত অভিযান চালায় কল্যাণী থানার পুলিশ। গতকাল বিকেলে ধৃত যুবকের বাড়িতে হানা দেন তাঁরা। এবং সেখান থেকে ১৩৮টি বিরল প্রজাতির বিদেশী পাখি উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া পাখিগুলিকে বন দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা বিদেশী পাখিগুলির মূল্য ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি।


আরও পড়ুন - Nadia News: 'মেমু নয়, লোকাল ট্রেন চাই', রানাঘাটে রেল অবরোধ, চরম ভোগান্তি যাত্রীদের


নদিয়া থেকে কচ্ছপ উদ্ধার-


অন্যদিকে, পাচারের আগেই উদ্ধার হল প্রায় সাড়ে পাঁচশো বিরল প্রজাতির কচ্ছপ। ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণে কচ্ছপ। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে দুই পাচারকারী। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,ভিনরাজ্য থেকে পাচার হয়ে আসা বিপুল পরিমাণে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ এদিন উদ্ধার হয় ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকা থেকে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার গ্রেফতার হয়েছে দুই পাচারকারী। খবর পাওয়া গিয়েছে, গোপনসূত্রে বন দফতরের কাছে খবর আসে যে ভিনরাজ্য থেকে পাচার হয়ে আসা বিপুল পরিমাণে কয়েক লক্ষ টাকার বিরল প্রজাতির কচ্ছপ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য মজুত করা হচ্ছে। বন দফতরের কাছে খবর আসে যে, ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকায় মজুত করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কচ্ছপ। খবর পেয়েই বারাসাত, বনগাঁ ও বসিরহাটের বন দফতরের আধিকারিকরা একসঙ্গে গোপন অভিযান চালায়। আজ ভোর চারটে নাগাদ তাঁরা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ। গোপন অভিযানে উদ্ধার হয় বাইশ বস্তা কচ্ছপ, যার ওজন প্রায় এক টনের উপর। প্রায় পাঁচশোটি কচ্ছপ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছএ দুই পাচারকারী। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছে, তা তদন্ত করছে বন দফতর।