সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: নদিয়ার চাকদা-বনগাঁ রোডের বিস্তীর্ণ অংশ এক মাসের বেশি সময় ধরে জলমগ্ন হয়ে থাকায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে শয়ে শয়ে মানুষকে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি শুক্রবার জমা জলে নেমে প্রতিবাদ করল বিজেপি। জলের মধ্যে সাঁতারও কাটেন চাকদার বিজেপি বিধায়ক। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে শাসকদল।
আরও পড়ুন, পরিযায়ী শ্রমিকের 'গলায় স্পষ্ট আঘাতের দাগ..', মহারাষ্ট্রে বঙ্গসন্তানের রহস্যমৃত্যু !
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জল জমে রয়েছে! আর তাই এভাবেই রাস্তায় সাঁতার কেটে প্রতিবাদ জানালেন বিজেপি চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। বৃহস্পতিবার জমা জলে নৌকা নামিয়ে প্রতিবাদ করেছিল বামেরা। আর শুক্রবার রাস্তায় সাঁতার কেটে বিক্ষোভ দেখালেন চাকদার বিজেপি বিধায়ক।এই সময়, সেখানে তৃণমূলের কয়েকজন পাল্টা পতাকা হাতে নেমে পড়লে, দু পক্ষের মধ্য়ে বাগযুদ্ধ বাধে!
চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বলেন, প্রতিবছর বর্ষার সময়ে এই (রাস্তা) জলমগ্ন হয়ে যায়, জলে ডুবে যায়। ৪, ৫, ৬ মাস ধরে ব্যবসায়ীরা এখানে ব্যবসা করতে পারে না। যান চলাচল ভেঙে পড়ে। বার বার প্রশাসনকে বলার পরেও তারা (কোনও) কাজ করেনি। তাতলা (২) গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন প্রধান ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, জলে হলেই, আমরা প্রতি বছরই পাম্প লাগাই। ইতিমধ্যে ৩টে পঞ্চায়েতের নিজস্ব মোটর লাগানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জল সরে যাবে। টানা বৃষ্টিতে শহর থেকে জেলা, জলমগ্ন নানা এলাকা! এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগে সল্টলেকে একই কায়দায় রাস্তায় জমা জলের প্রতিবাদে সাঁতার কেটে প্রতিবাদ জানায় বিজেপি।দুর্গাপুরে জমাজলে, কচু ও ধানের চারা পুঁতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার রাস্তার বেহাল ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। খানাখন্দে ভরা সেই রাস্তাতেই এবার উল্টে গিয়েছিল পাথর বোঝাই লরি। পাথরের তলায় চাপা পড়েছিল ৭ বছরের নাবালিকা। বরাত জোরে নাবালিকার প্রাণ বাঁচলেও, রাস্তার এই অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। বর্ষার জলে কাদায় টইটম্বুর হয়েছিল রাস্তা। চাপা পড়েছিল খানাখন্দও। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায়,খানাখন্দে ভরা বেহাল রাস্তায় উল্টে গিয়েছিল পাথর বোঝাই ট্রাক্টর। ট্রাক্টরের পাথরের নীচে চাপা পড়েছিল সাত বছরের নাবালিকা। বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গেলেও, গুরুতর জখম হয়েছিল সে। এই ঘটনার পর, রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা।