সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: চালের (Rice) গুঁড়োতে রং মিশিয়ে মশলা তৈরি! ফের নদিয়ায় (Nadia) ভেজাল মশলা (Spices) কারখানার হদিশ। ধানতলার আড়ংঘাটা বাজারের কারখানায় হানা দিলেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। গ্রেফতার অভিযুক্ত কারখানার মালিক।
কল্যাণীর সগুনার পর এবার ধানতলার আড়ংঘাটা বাজার। ফের ভেজাল মশলা কারখানার হদিশ। হানা দিয়ে, বিপুল পরিমাণ ভেজাল মশলা বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। সূত্রে খবর, চালের গুঁড়োর সঙ্গে রঙ ও রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি করা হত হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো-সহ বিভিন্ন মশলা। তারপর সেই ভেজাল মশলা নদিয়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হত। হানা দিয়ে, বিপুল পরিমাণ ভেজাল মশলা বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার আড়ংঘাটা বাজারের এই কারখানায় অভিযান চালান এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। ৩২০ বস্তা চালের গুঁড়ো, রঙ ও ভেজাল হলুদ গুঁড়ো বাজেয়াপ্ত করা হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে কারখানার মালিক অশোক আগরওয়ালকে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত কারখানার মালিক অশোক আগরওয়াল বলেন, "স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে এই ধরনের কাজ করিয়ে নিত। আমরা কখনোই নকল হলুদ বাজারে বিক্রি করতাম না। আমি ছাড়াও এলাকায় আরো অনেকে এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত।"
আরও পড়ুন, "আমাকে হয়ত পরে মেরে ফেলতে পারেন, তাতে আমার কিছু যায় আসে না", এবিপি আনন্দে বিস্ফোরক বিচারপতি
অন্যদিকে, আড়ংঘাটা ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি দেবাশিস দত্ত বলেন, "খাদ্যদ্রব্য নকল হওয়াটা বাঞ্ছনীয় নয়। এনিয়ে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকেও আলোচনায় বসা হবে।" সোমবারও কল্যাণীর একটি কারখানা থেকে নকল মশলা বাজেয়াপ্ত করা হয়। দুটি কারখানাই সিল করে দেন ইবি আধিকারিকরা। কয়েক বছর আগে, এই নদিয়ার একাধিক জায়গা থেকেই, সামনে এসেছিল ভেজাল ভোজ্য তেলের কারবার।
পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে পর্দাফাঁস হয়েছে, ভেজাল দুধ থেকে নকল মিনারেল ওয়াটারের অসাধু কারবারের। কিন্তু, তারপরও কেন বন্ধ হচ্ছে না, টাকার জন্য মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।