নদিয়া: নদিয়ার কালীগঞ্জে আড়াই কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত! প্রায় আড়াই কেজি মাদক পাচারের সময় ২জন গ্রেফতার। পলাশির দিকে মাদক নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের তল্লাশি। পলাশিপাড়ার বড় নলদহ থেকে পলাশি যাওয়ার সময় পাকড়াও। রাজ্য সড়কে পুলিশের নাকা তল্লাশি, আড়াই কোটির মাদকের হদিশ।
সম্প্রতি নিউটাউনে মাদক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতদের মধ্যে ছিল দুই জন বি টেক ইঞ্জিনিয়ারও । রাতে রাজ্য এসটিএফ ও ইকো পার্ক থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই চার জনকে গ্রেফতার করেছিল। উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ২৫০ গ্রাম মাদক। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা গত কয়েক মাস সাপুরজিতে থাকছিল। তারা মালদা, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের বাসিন্দা। মাদক কোথা আনা হচ্ছিল তার খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা কোনও বড় চক্রের সঙ্গে জড়িত।
প্রসঙ্গত, মাদক দ্রব্য পাচারের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতির সাহায্য নেন পাচারকারীরা। কিছু ক্ষেত্রে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে পুলিশ। গতবছর পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সরকারি বাসে করে গাঁজা পাচার চৌপাট করে দিয়েছিল পুলিশ। কাঁথি থানার পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল ১৪ জন।বিভিন্ন বেসরকারি গাড়িতে পুলিশ ভালোভাবে চেকিং করলেও সরকারি বাসের ক্ষেত্রে ততটা কড়া মনোভাবের দেখা মেলা না। আর তাই সরকারি বাসে করে গাঁজা পাচারের ছক কষেছিল পাচারকারীরা। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি।
২০০ কেজি গাঁজা সহ ১৪ জনকে পাকড়াও করেছিল পুলিশ। এদের মধ্যে দুজন মহিলাও ছিল।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি বাসে করে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছিল পাচারকারীরা। কাঁথি থানা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস ও কাঁথি থানার আইসি প্রদীপ কুমার দানের নেতৃত্বে সরকারি বাসে চলেছিল অভিযান । উপস্থিত ছিলেন মারিশদা থানার ওসি বুদ্ধদেব মালও। তল্লাশি চালানোর পর বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার কাঁথি শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।
যতই অভিনব উপায়ে মাদক পাচার হোক না কেন, শেষ অবধি ধরাই পড়তে হয়েছে পাচারকারীদের। কলকাতা বিমানবন্দরেও মাদক পাচার কাণ্ডের পর্দাফাঁসের ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে। কখনও পেনে ভরে, কখনও আবার ট্রলি ব্যাগের আড়ালে মাদক পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে পাচারকারীরা।