নদিয়া: গতকাল তৃণমূলের বিজয় উল্লাস থেকে ছোঁড়া বোমায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর মত্যু হয় বলে গুরুতর অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। কালীগঞ্জের ঘটনায় পুলিশের কাছে রিপোর্ট চাইল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। ময়নাতদন্তের পর এবার কালীগঞ্জ ফিরল ছোট্ট তামান্নার নিথর দেহ। শববাহী যানের পিছনে বিশাল পুলিশবাহিনী। এলাকায় রয়েছে বাম ও কংগ্রেস নের্তৃত্ব।
'ছোট্ট তামান্না শেষ ইচ্ছেয় পরিযায়ী বাবাকে বলেছিল, এবার ঘরে ফিরলে একটা ক্লিপ কিনে দিও..'
উপস্থিত এক স্থানীয় নেতা বলেন,' আজকের কর্মসূচি শোকাবহ কর্মসূচি। শোকটাই শপথে পরিণত হবে। দেখছেন লাশ। এটাকে লাশ বলতে কষ্ট লাগছে। ১০ বছরের শিশু কন্যা, সে তার শেষ ইচ্ছেয় পরিযায়ী বাবাকে বলেছিল, এবার ঘরে ফিরলে একটা ক্লিপ কিনে দিও। ক্লিপের বদলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুন্ডাবাহিনী, বিজয় উল্লাস থেকে একটা বোমা পাঠিয়ে দিল তার জন্য। সেই ক্ষতবিক্ষত দেহ নিয়ে, আমরা কবরের মাটিতে শপথ নেব, যতদিন না পর্যন্ত ওর খুনি এবং মদতদাতা তৃণমূল কংগ্রেসকে বাংলা ছাড়া করতে পারব, ততদিন সিপিআইএম বামপন্থী, গণতান্ত্রিক শক্তি, ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তি, এই যে লড়াই , এই লড়াইয়ের আমরা এক ইঞ্চি মাটি ছাড়ব না।'
কী প্রতিক্রিয়া কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীর ?
সোমবার ভোটের ফলাফল গণনা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, তাঁর জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পুরো ফল বেরনোর আগেই যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেল, তাতে মর্মাহত কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীও। তৃণমূলের বিজয় উল্লাস ও সেখান থেকে ছোড়া বোমায় প্রাণ হারাতে হল ফুটফুটে বালিকাকে। যে ঘটনায় ধাক্কা খেয়েছেন জয়ী তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদও। যিনি নিজেও একজন মা। কালীগঞ্জের জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ বলেন, আমি নিজে একজন মা। আমার ছোট বাচ্চা রয়েছে। একটা মায়ের কোল থেকে বাচ্চা কেড়ে নেওয়া কী জিনিস, আমি বুঝি। খুব দুঃখ লাগছে যে, আমি মেয়েটাকে ফিরিয়ে আনতে পারব না। আপনাদের কাছ থেকে প্রথম শুনতে পেরেছি এবং বাইরে বেরিয়ে যখন বিশদভাবে শুনলাম, আমি সাংঘাতিকভাবে মর্মাহত হয়েছি এবং সেই মুহূর্তে আমার জয়ের কোনও আনন্দ আর বাকি ছিল না।