প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: নদিয়ার (Nadia) তেহট্ট সমবায় সমিতির ভোটে বামেদের বাজিমাত। ৬৯টির মধ্য়ে ৫০টি আসনে জয়ী সিপিএম। মাত্র ১৯টি তৃণমূলের হাতে। এই ভোটে অবশ্য় প্রার্থী দেয়নি বিজেপি।


বামেদের বাজিমাত: নদিয়ায় ফের উড়ল লাল নিশান। তাহেরপুর পুরসভার নির্বাচন, পলাশিপাড়ার চাঁদেরঘাট সমবায়, তেহট্ট কৃষি উন্নয়ন সমবায়ের পর, এবার, তেহট্টের ধৌপট্ট কুষ্টিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনেও বামেদের জয়জয়কার। ১৯৬৬ সালে গঠিত হয় তেহট্টের ধৌপট্ট কুষ্টিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি। রবিবার ওই সমবায় সমিতির ভোট ছিল। মোট ভোটার সংখ্য়া ১হাজার ৭১৯।৬৯টি আসনের মধ্য়ে ৫০টি আসনে জয়ী হয়েছে সিপিএম। মাত্র ১৯টি আসন পেয়েছে তৃণমূল।


এর আগে, ১৫ই জানুয়ারি তেহট্টের চাঁদেরঘাট সমবায় সমিতির ৪৯টি আসনের মধ্য়ে সবকটিতে জয়ী হয় সিপিএম। এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি তেহট্ট সমবায় সমিতির নির্বাচনে ৭২ আসনের মধ্যে সিপিআইএম জয়ী হয় ৬৭টিতে ও তৃণমূল পায় মাত্র ৫টি আসন। রবিবার নদিয়ায় ফের বাম শিবিরের জয়।কার্যত ধরাশায়ী হল তৃণমূল। এই ভোটে অবশ্য় বিজেপি কোনও আসনে প্রার্থী দেয়নি।


প্রসঙ্গত, তেহট্টে সমবায় সমিতির নির্বাচনেও বিশাল জয় পায় সিপিএম (CPIM)। ৪৯ আসনের সমবায় সমিতির সবকটি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেল তারা। একটি আসনও প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল। ১৯৭৭-এর পর থেকে এই সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটিতে ক্ষমতায় রয়েছে বামেরা। এই প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর চাঁদেরঘাট সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোট ঘোষণা হয়। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২৫ ডিসেম্বর। রবিবার ছিল ভোটগ্রহণ। ৪৯ আসনবিশিষ্ট এই সমবায় সমিতিতে সিপিএম সব আসনে প্রার্থী দিলেও, একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল বা অন্য কোনও দল। ফলে এদিন সবকটি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন সিপিএমের প্রার্থীরা। এদিনই তাঁদের হাতে জয়ের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। তবে জয়ের পর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটের আগে ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছে সিপিএম। গত নভেম্বরে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়, বাম ও বিজেপি সমর্থিত ঐক্যমঞ্চ। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে রাম-বাম জোট ও নন্দকুমার মডেল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। 


আরও পড়ুন: Kidney Stone: কিডনিতে পাথর জমার সমস্যা এড়াতে প্রতিদিনের জীবনে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি