সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, নদীয়া: বাড়িতে আলো রয়েছে। কিন্তু বাইরে বেরোলেই রাস্তা অন্ধকার। বিদ্যুতের খুঁটি থাকলেও, তাতে নেই কোনও আলো। পলাশিপাড়ায় (Palashipara) একই পরিবারের তিনজনকে খুনের ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে গ্রামবাসী। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি। দাবি এখানকার বাসিন্দাদের।
সন্ধে নামতেই ঘুটঘুটে অন্ধকার রাস্তাঘাট: ৪৮ ঘণ্টা আগেই, গ্রামে খুন হয়ে গিয়েছেন একটি বাড়ির তিন-তিনজন সদস্য। সকলেরই গলার নলি কাটা। সোমবার রাতে নদিয়ার (Nadia) পলাশিপাড়ার (Palashipara) ধাওড়াপাড়ার এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। তার ওপর সন্ধে নামলেই ঘুটঘুটে অন্ধকার রাস্তাঘাট। সোমবারের এই ঘটনায় মৃতদের এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু একজনের পক্ষে তিন-তিনজনকে গলার নলি কেটে খুন করা কি সম্ভব? আর এখানেই উঠে আসছে, একাধিক আততায়ী থাকার প্রসঙ্গ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতকে জেরা করে তাঁর এক সঙ্গীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আধ কিলোমিটার দুরে জলঙ্গি নদী (Jalangi River)। আর তা পেরোলেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) । অন্ধকারের সুযোগ নিয়েই আততায়ীরা পালায়নি তো? এই প্রেক্ষাপটে গ্রামে আলো না থাকার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের পাল্টা প্রশ্ন, অন্ধকার রাস্তায় কে এল, কে গেল, বোঝা যাবে কী করে? পলাশিপাড়ার রানিনগরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, “প্রশাসনকে বারবার বলেছি, আলো লাগাতে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। ভয় লাগে এরকম ভাবে থাকতে। ’’ আরেক বাসিন্দার কথায়, “ভয়ে কাঁপছি। বাচ্চা নিয়ে থাকি। রাত হলেই ভয় লাগে।’’
গ্রামের আঁকাবাঁকা রাস্তায় বিদ্যুতের একাধিক খুঁটি থাকলেও, তাতে আলো নেই। ঘটনার পর শুধুমাত্র নিহত পরিবারের বাড়ির সামনে একটি আলো (Light) লাগানো হয়েছে। সব মিলিয়ে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আতঙ্কে গোটা গ্রাম। আর অন্ধকার সেই আতঙ্ককেই যেন বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ।
আরও পড়ুন: SBSTC: যাত্রী সুরক্ষায় গাফিলতির অভিযোগ, বর্ধমানে এসবিএসটিসি-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ যুব কংগ্রেসের