সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: শাসকনেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ নদিয়ায়। জমি দখলে বাধা দেওয়ায়, তৃণমূলের নেতার হাতে প্রহৃত হতে হল দলেরই বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও ছেলেকে ? অভিযোগ, ৮৫ বছরের বৃদ্ধার হাত ভেঙে দেওয়া হল। থানায় লিখিত অভিযোগ হওয়া সত্ত্বেও অধরা অভিযুক্তরা। ঘটনাটি নদিয়ার ধানতলা থানার হালালপুর গ্রামের। ঘটনার পর শুরু রাজনৈতিক তরজা।

শুধু তাই নয়, জমি দখল এবং নয়নজলি ভরাটের প্রতিবাদ করে তৃণমূল নেতা তথা দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রোমোটারের হাতে আক্রান্ত আশি ঊর্ধ্ব বৃদ্ধা। মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়া হয় তার। আক্রান্ত ওই বৃদ্ধার এক ছেলেও। দু’জনকেই চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে রাণাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। শ্লীলতাহানি করা হয় বেআইনি কাজে বাধা দেওয়া পরিবারের মহিলা সদস্যদের।
ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রাণাঘাট-২ ব্লকের হিজুলী-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হালালপুরে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা প্রোমোটারের নাম অভিজিৎ সরকার। ওই তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে প্রতিবাদী পরিবারটির উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাচক্রে আক্রান্ত পরিবার আবার তৃণমূলের সমর্থক। গোটা ঘটনাটি নিয়ে ধানতলা থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও, এখনও তাদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ সরকার এবং তার সঙ্গীরা পলাতক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ফের জমি দখলে অভিযুক্ত হয়েছিল তৃণমূল। বাধা দেওয়ায় মহিলা সহ পরিবারের সদস্যদেরকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। মারধরের ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযুক্ত তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি সাহেব দাস , পূজন দাস সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। যদিও ওই জমিটি তাদের বলে দাবি ছিল তৃণমূল নেতা সাহেব দাসের। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর। ঘটনাটা ঘটেছিল মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর এলাকায়।