সুজিত মণ্ডল, হরিণঘাটা: নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটার (Haringhata) ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাঘের আতঙ্ক (Tiger Fear)। অন্ধকারে পুকুরপাড়ে একটি জন্তুকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। বাঘ নয়, প্রাণীটি বাঘরোল- বর্ণনা শুনে জানিয়েছে বন দফতর (Forest Department)। আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বন আধিকারিকরা।
হরিণঘাটায় বাঘের আতঙ্ক: অন্ধকার পুকুরপাড়ে কলাগাছের ঝোপের আড়ালে কী ওটা? অন্ধকারে শিকারের অপেক্ষায়! বাঘ নয়তো! নদিয়ার হরিণঘাটার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তীব্র আতঙ্ক! এলাকা বাসীদের দাবি, শনিবার রাতে প্রাণীটিকে দেখতে পাওয়া যায়। এরপরই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নদিয়ার হরিণঘাটার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমীর বিশ্বাস বলেন, “বাঘের বাচ্চার মতো দেখতে প্রাণীটাকে দেখেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। লাঠি নিয়ে বের হই। টর্চ মেরে দেখি পুকুর পাড়ে বসে আছে। পুকুর পাড় দিয়ে চলে গেল। ভয় তো লাগছেই।’’ এদিন ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর। তৃণমূল কাউন্সিলর সীমা কাঞ্জিলাল বলেন, “আতঙ্ক নয়, সতর্ক থাকতে হবে। প্রশাসনকে জানিয়েছি। বন দফতরকে জানিয়েছি।’’ যদিও এদিন রানাঘাটের রেঞ্জ অফিসার জানিয়েছেন, বাঘ নয়, বর্ণনা শুনে বুঝেছি প্রাণীটি বাঘরোল অর্থাৎ মেছো বিড়াল। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
দিনকয়েক আগে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জঙ্গলে দেখা মেলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। বাস্তবে বাঘের সংখ্যা ঠিক কত? তা জানতেই হল বাঘ সুমারি। গত সপ্তাহে তিনদিন ধরে বাঘ সুমারি করলেন বন দফতরের আধিকারিক-কর্মীরা। বন দফতর সূত্রে খবর, গরুমারা ও চাপড়ামারিতে মোট ১৬টি দল এবং নেওড়াভ্যালিতে ১৩টি দল এই কাজ হয়। বাঘের পায়ের ছাপ সংগ্রহ করার পাশাপাশি, তাদের গতিবিধি সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। তবে পরিবেশপ্রেমীরা দাবি তুলেছেন, বাঘের গতিবিধি জানতে বিভিন্ন জঙ্গলে পর্যাপ্ত সংখ্যায় সিসি ক্যামেরা বসাক বন দফতর। প্রায় চার দশক পর, ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গের নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানে দেখা মেলে রয়্যাল বেঙ্গলের। ওই বছরেরই ১৫ ফেব্রুয়ারি ফের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দেখা যায়। এরপর আরও কয়েকদফায় ধরা পড়ে একই ছবি।