প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে যুবককে খুনের অভিযোগ, রেল লাইনের পাশে উদ্ধার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এক যুবককে খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে  কালীগঞ্জ থানা এলাকায়। 

গতকাল রাতে কালীগঞ্জ থানার হাট গোবিন্দপুর রেল লাইনের ধারে থেকে যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের নাম মফিজুল সেখ। মৃত্যুকালীন বয়েস হয়েছিল ৩৩। তাঁর বাড়ি হাট গোবিন্দপুর দক্ষিণপাড়ায়। পরিবারের দাবি, গতকাল রাত আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর ফোন করলে তাঁর ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায়। এরপর তারা খবর পান রেল লাইনের ধারে মৃতদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান রেললাইনের ধারে তার মৃতদেহ পড়ে আছে।তাঁদের অভিযোগ খুন করে দেহটি রেল লাইনের ধারে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার স্ত্রীর দাবি , প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গে পালিয়ে যেতে রাজি না হওয়ায় সে 'খুন' করিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তের পরিবার।

গতকাল আরও একটি ভয়াবহ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে এসে সংসার পেতেছিল স্ত্রী, সেই আক্রোশে প্রেমিকের বাড়িতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে 'খুন' করল স্বামী ! স্ত্রীকে 'খুন' করে নিজের পেটেই ছুরি দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টাও চালিয়েছেন স্বামী। বিস্ফোরক অভিযোগ উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়।  পরিবার সূত্রে খবর, এক বছর আগে গোপালনগর এর বাসিন্দা সুকদেব বিশ্বাসের সংসারে সন্তান রেখে পল্লা হরিশপুর প্রেমিক রতন মণ্ডলের হাত ধরে  নতুন করে সংসার পেতেছিল দীপু মিস্ত্রি। স্ত্রীর নতুন করে এই সংসার পাতার ঘটনা মানতে পারেনি স্বামী। যা নিয়ে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হতো, সংসারে ফিরে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার স্ত্রীকে নিতে এসেছিল সুকদেব। কিন্তু তিনি যাননি স্ত্রী।

আৎও পড়ুন, কলকাতার নামী হাসপাতালে এবার জাল ইঞ্জেকশন ! বড় সার্জারিতে ব্যবহার হয় এই গুরুত্বপূর্ণ অ্যালবুমিন..

সোমবার সন্ধ্যায় সুকদেবের স্ত্রী দীপু যখন তার প্রেমিক রতনের বাড়িতে বসে টিভি দেখছিল সেই সময় পিছন দিক থেকে ছুরি দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করে শুকদেব। তারপর নিজের পেটেই ছুরি দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদেরকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা দীপুকে 'মৃত' বলে ঘোষণা করে। শুকদেব বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে রতনের পরিবার ও প্রতিবেশীরা ।