সুজিত মণ্ডল, নদিয়া:  নদিয়ার শান্তিপুরের পঞ্চায়েতে আস্থা ভোট চলাকালীন উত্তেজনা। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার গেলে, তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। বিক্ষোভ থেকে বিজেপি সাংসদকে বের করে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।


আস্থা ভোট চলাকালীন নদিয়ার শান্তিপুরের পঞ্চায়েতে ধুন্ধুমার। বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে ঘিরে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ। সাংসদকে কটূক্তি করা হয় বলেও অভিযোগ।
একটা সময় পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে, জগন্নাথ সরকার ও মারমুখী তৃণমূলকর্মীদের মাঝে কার্যত মানব প্রাচীর করতে হয় সাংসদের নিরাপত্তারক্ষী ও শান্তিপুর থানার পুলিশকে।


উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীদের আটকাতে, পুলিশকে দড়ি দিয়ে ব্যারিকেডও করতে হয়। বেশ কিছুক্ষণ পর, বিজেপি সাংসদকে কোনওরকমে গাড়িতে তোলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ কর্মীরা।সেই সময়, সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটও।


শান্তিপুরের বেলগড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৫। এরমধ্যে, বিজেপির দখলে ৬।তৃণমূলের দখলে ৩ ও নির্দলের দখলে ছিল ৬টি আসন। নির্দলদের সমর্থনে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল।বিধানসভা ভোটের আগে, তৃণমূলের দখলে থাকা এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজেপিতে যোগ দেন। এরপরই, পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনে বিজেপি। বুধবার হয় ভোটাভুটি।


তা নিয়ে সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা ছিল। এরমধ্যেই, দুপুরের দিকে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে আসেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। আর তাতেই, উত্তেজনা ছড়ায়।বিজেপি সাংসদকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা।তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও তুলেছে বিজেপি। শান্তিপুর বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিপ্লব কর বলেছেন, আমি খবর পেয়ে আসি, তৃণমূলের লোকেরা দলের কর্মীদের মারধর করেছে, সাংসদকেও হেনস্থা করা হয়েছে।


পাল্টা, বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে আইন ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। শান্তিপুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নিমাইচন্দ্র বিশ্বাস  বলেছেন, আইন অমান্য করে আস্থা ভোট চলাকালীন পঞ্চায়েত অফিসে এসেছিলেন সাংসদ। যে কারণেই আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে।


এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জগন্নাথ সরকার।  


তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা না আসায়, হয়নি আস্থা ভোট। তৃণমূলের দখলেই থাকল,  শান্তিপুরের বেলগড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত।