পার্থপ্রতিম ঘোষ, নদিয়া : নদিয়ার তেহট্টে বালককে নৃশংস ভাবে খুনকাণ্ডে গ্রেফতার ৪। গণপিটুনিতে নিহত উৎপলের ছেলে, আত্মীয়-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার করা হয়েছে উৎপল মণ্ডলের ছোট ছেলে, ছোট ছেলের স্ত্রী এবং আরও ২ আত্মীয়কে। নিহত উৎপল মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী সোমা-সহ মোট ৭ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত বালকের পরিবার। অপহরণের পাশাপাশি খুনের ধারাতেও মামলা রুজু করা হয়েছে পুলিশের তরফে। নদিয়ার তেহট্টে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। বাড়ির কাছেই ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয় ৮ বছরের বালকের ত্রিপল মোড়া দেহ। বালকের দেহ উদ্ধারের পর গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় প্রতিবেশী উৎপল মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী সোমার। 

গতকাল রাতে তেহট্ট থানায় মৃত বালকের পরিবারের তরফে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এই নতুন অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের ধারায় মামলা রুজু হয়। আগে যা যা অভিযোগ ছিল বালকের পরিবারের, তার সঙ্গে অপহরণের অভিযোগ যুক্ত হয়েছে। অপহরণের অভিযোগে নির্দিষ্ট ধারায় মামলাও রুজু হয়েছে। অন্যদিকে, মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে খুনের ধারায় মামলা শুরু করেছে পুলিশ। উৎপল মণ্ডল, তাঁর স্ত্রী সোমা-সহ পরিবারের মোট ৭ জন সদস্য, আত্মীয়র বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে মৃত বালকের পরিবার। এদের মধ্যে উৎপল মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী সোমার মৃত্যু হয়েছে। আরেকজন আত্মীয় ভর্তি হাসপাতালে। উৎপল মণ্ডলের পরিবারের বাকি যে চারজনের নামে অভিযোগ ছিল, তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ধৃতদের আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। এরপর ক্রমশ এগিয়ে চলবে তদন্ত। 

শুক্রবার বিকেলে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া। শনিবার অর্থাৎ গতকাল সকালে বাড়ির কাছেই পুকুরে ওই বালকের ত্রিপলে মোড়া দেহ ভাসতে দেখা যায়। নদিয়ার তেহট্টের নিশ্চিন্তপুরে ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। বাচ্চাটিকে খুনের অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী একটি পরিবারের বিরুদ্ধে। সেই পরিবারের উপর চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন তিনজন। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। মৃত্যু হয় ২ জনের। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এক জন। এই মৃতরাই হলেন উৎপল মণ্ডল এবং তাঁর স্ত্রী সোমা। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁদেরই পরিবারের এক সদস্য। গতকাল তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর তুমুল উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল নদিয়ার তেহট্টের নিশ্চিন্তপুরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ।